ভারতে সুনামির মত আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। অন্যান্য রাজ্যের মতো দিল্লিতেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাজধানীতে সপ্তাহান্তে কার্ফু জারি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।কার্ফুতে একমাত্র জরুরি পরিষেবার (হাসপাতাল যাওয়া, এয়ারপোর্ট যাওয়া, ওষুধের দোকান, দুধের দোকান) ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আজ দিল্লির উপরাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দীর্ঘ বৈঠকের পর সাপ্তাহিক কার্ফু-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কেজরিওয়াল জানান, দিল্লিতে কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত কাজের দিনগুলোতে মানুষ কাজে বের হয় কিন্তু সপ্তাহের শেষে মানুষ ভিড় জমায় শপিং মল, বাজার, সিনেমা হলে। তাই ওই দিনগুলোতে কার্ফু জারি করা হল।তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। জিম, স্পা এবং অডিটোরিয়াম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিনেমা হলগুলি কেবল ৩০ শতাংশ দর্শক নিয়ে চালাতে হবে। রেস্তোঁরাতে বসে খাওয়া যাবে না , কেবল হোম ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক বাজারগুলোতে যাতে ভিড় না হয় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রত্যেক বাজারের মধ্যে প্রশাসন আরোও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ববিধি যাতে মেনে চলা হয় সেদিকে নজর রাখা হবে। এবং তিনি দিল্লিবাসীর কাছে অনুরোধ করেন সরকারের জারি করা সমস্ত নিয়ম মেনে চলার।
তিনি আরোও বলেন দিল্লিতে করোনা রোগীর বেডের অভাব নেই। হয়তো কোনো একটি হাসপাতালে বেড নেই তবে গোটা দিল্লিতে বেড নেই এমন নয়।
উল্লেখ্য, বুধবার দিল্লিতে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ২৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় একশো জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে।দেশে রেকর্ড হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নজিরবিহীনভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’ লাখ ছাড়াল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’ লাখ ৭৩৯। মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৮ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৩ হাজার ৫২৮ জন।বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৪।