সংখ্যালঘুরাই বলির পাঠা, দ্বিচারি মমতা! তৃণমূল সুপ্রিমো ও প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে বিস্ফোরক ওয়েইসি

রাজ্যে প্রথমে কংগ্রেস, তারপরে বাম এবং সব থেকে শেষে তৃণমূল। সবাই সংখ্যালঘুদের নিয়ে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। অডিও টেপে সাংবাদিকদের সঙ্গে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (prashant kishor) মন্তব্যের জেরে তাঁকেই নিশানা করলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (asaduddin owaisi)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) ব্যর্থতার কারণে মুসলিমদের বলির পাঠা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও প্রশান্ত কিশোরের ওই অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোর পুরো অডিও প্রকাশের কথা বলেছেন।

সংখ্যালঘুদের তুষ্টিকরণ নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি বলেছেন সেলিব্রিটি পোল স্ট্র্যাটেজিস্ট ফ্যাক্ট মুক্ত মনের কথা বলেছেন ওই সাক্ষাৎকারে। তিনি প্রশান্ত কিশোরকে আক্রমণ করে বলেছেন, বাংলায় সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িকতাবাদে অন্তর্দৃষ্টি দিতে গিয়ে ব্যর্থতার দায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের ঘাড়ে চাপিয়ে তাঁদের বলির পাঠা করেছেন।

রাজ্যে পঞ্চমদফা ভোটের আগে সুর চড়িয়ে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেছেন, রাজ্যে মুসলিমদের সংখ্যা ২৭%। কিন্তু চাকরি করছেন মাত্র ৬%। উচ্চশিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মাত্র ১১% মুসলিম। তিনি আরও বলেছেন, গ্রামে থাকা মুসলিমদের ৮০%-এর মাসে আয় ৫ হাজারের নিচে। স্বাস্থ্যে সব থেকে খারাপ অবস্থায় থাকা ছটি জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা ২৫%-এর বেশি। কিন্তু জেলে থাকাদের মধ্যে ৩৭% মুসলিম। সঙ্গে তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘু প্রধান মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা আর্সেনিক যুক্ত জল পান করতে বাধ্য থাকেন।

ওয়েইসি বলেছেন, বামেদের সময়েও বঞ্চিত ছিলেন মুসলিমরা। যা কুণ্ডু এবং সাচার কমিটি তুলে ধরেছে। বামেদের ভূমি সংস্কারের সুবিধা পৌঁছয়নি মুসলিমদের কাছে। কেননা তাদের তিন চতুর্থাংশই ভূমিহীন। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এমনটাই মন্তব্য করেছেন ওয়েইসি।

মুসলিমরা তৃণমূলের পাশাপাশি বামেদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছে। কিন্তু বিনিময়ে তাঁরা কিছুই পায়নি। তাঁদের ভাগ্যে জুটেছে খালি অপমান। হায়দরাবাদের সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, তিনি মুসলিম দুধেল গরু বলেছিলেন। আর এখন তিনি বলছেন, ভোট যেন ভাগ না করেন মুসলিমরা। যদি তোষণই হয়ে থাকে কেন ভিক্ষা, প্রশ্ন করেছেন তিনি। ওয়েইসি বলেছেন, মমতার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে বলছেন, মুসলিমদের তিনি হিন্দুত্ব থেকে রক্ষা করবেন। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, কীভাবে হিন্দুত্বকে বাড়তে সাহায্য করেছেন তিনি। তাঁর একমাত্র কাজেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আল্লা মুসলিমদের এরকম তুষ্টিকরণ থেকে রক্ষা করেছেন, মন্তব্য করেছেন তিনি।