ডেস্ক: সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের সংসদ জন বার্লা। যার কারণেই তিনি ইদানিং বেশ চর্চাতেই রয়েছেন। তবে শুধুমাত্র তার পদোন্নতি হওয়ার কারণে তিনি চর্চায় নেই, কিছু কিছু কর্মকান্ড এমনই করে ফেলেন যার কারণে ট্রলিং থেকে শুরু করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন জন বার্লা।
এইতো বেশ ক’দিন আগে আচমকাই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি করে বসেন তিনি। সেই বিবৃতির কারণে কম বিতর্ক হয়নি তাকে নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক থেকে বিরোধী দল অর্থাৎ খোদ বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই তাকে নিয়ে চলেছিলো সমালোচনা।
কিন্তু বার্লা মহাশয় এবারে এমন কিছুই করলেন যার কারণেই আইনী তদন্ত শুরু হয় তার বিরুদ্ধে। সূত্র অনুযায়ী, জন বার্লা সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করেছেন কুড়ি থেকে পঁচিশ লাখ টাকায়। অভিযোগ উঠেছিল সরকারের জমিতে বহুতল নির্মাণে হাত রয়েছে বিজেপি সাংসদ মন্ত্রীর। যার কারণে শুরু হয় তদন্ত। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই ‘দুর্নীতি’ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকে নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রাজ্যের ক্ষমতাসীন শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ চামুর্চিতে যে বহুতল তৈরি হচ্ছে এবং বহুতল বিল্ডিংটি যে জমিতে তৈরি হয়েছে সেই জমিটি সরকারের যা দখল করে 20 থেকে 25 লক্ষ টাকায় বিক্রি করে জন বার্লা। এই অভিযোগটি অস্বীকার করতে পারেনি জন বার্লা।
তবে উল্টো তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধেও জমি দখলের অভিযোগ তুলেছিলেন। সাথে এটাও বলেছিলে সরকারি জমিতে যে বাড়ি তৈরি হয়েছে সেটি কমিউনিটি সেন্টার বানানো হবে, মহিলাদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। কিন্তু এই সমস্ত বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এই সাংসদ মন্ত্রীর ওপর।