দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন
ডেস্ক : গোটা দেশে আজ পালিত হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে পালিত হচ্ছে আজকের দিনটি। স্বামীজীর বাড়ি উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকেই ভক্তদের সমাগম বাড়ছে। বিবেকানন্দের জন্মদিনটি জাতীয় যুব দিবস হিসাবে পালিত হয়।
করোনা পরিস্থিতির জেরে গত কয়েক বছর স্বামীজীর সিমলা স্ট্রিটের বাড়ির ভিতর প্রবেশের অনুমতি ছিলনা ভক্তদের। বাইরেই শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হতো তাদের জন্যে। পরিস্থিতি বদলানোর পর ফের আগের মতোই ভক্তরা স্বামীজীর স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। সকালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সারদাপীঠের সভাগৃহে প্রার্থনা ও ভক্তিগীত দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মার্শাল আর্ট, দেশাত্ববোধক গান, শারীরিক কসরত ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।
১৯৮৫ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন। যুব সমাজের প্রতি স্বামীজীর বার্তা ছিল ‘ওঠো, জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমোনা ‘, ‘ সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও , তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছো ‘ । শিকাগোর বক্তৃতা রাখতে গিয়ে ‘ ভাই ও বোন ‘ বলে সম্বোধন করা শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁরই বক্তব্য ‘ জীবে প্রেম করে যেই জন , সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ‘ .
চরিত্র গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ নিজের ওপর বিশ্বাস না এলে, ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস আসেনা ‘ . ‘ যে রকম বীজ আমরা বুনি, সেরকমই ফসল আমরা পাই ‘ , ‘ আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি , তারজন্যে কাওকে দোষারোপ করার কিছু নেই ‘. ভয়ডরহীন হয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে তিনি বলেছিলেন , ‘ ভয়ই মৃত্যু , ভয়ই পাপ, ভয়েই নরক, ভয়ই অসাধুতা ,ভয়ই ভুল জীবন , এই বিশ্বের সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা, ভাবনা, ও ধারণা – এই ভয়ের অসৎ শক্তি থেকেই সৃষ্টি হয় ‘।