কেন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস?

ডেস্ক: নিয়ম করেই প্রতি বছর মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। লিঙ্গবৈষম্য কমাতে, পুরুষ-নারী সমানাধিকারের জন্য সারা বিশ্ব জুড়েই পালন করা হয় এই দিনটি। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে এর সঙ্গে রয়েছে আরও বড় ইতিহাসও। দেখে নেওয়া যাক, সেই ইতিহাসটি ঠিক কী?
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তারিখ: প্রতি বছর ৮ মার্চ পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারা পৃথিবী জুড়েই এই দিনটি পালন করা হয়।

United Nations Educational, Scientific and Cultural Organisation বা UNESCO-র তরফে জানানো হয়েছে, ১৯০৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। নারী শ্রমিকদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেই বছর এই দিনটি পালন করা হয়েছিল। পরে রাশিয়াতেও ১৯১৭ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হতে থাকে একই কারণ মাথায় রেখে। তবে রাশিয়াতেই প্রথম বার এই দিনটি পালিত হয় ৮ মার্চ। তার পর থেকে সেটিই রীতি হয়ে গিয়েছে। বছরের এই দিনটিকেই আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সকলের তরফে।

লিঙ্গবৈষম্য দূর করার জন্য এই দিনটি পালিত হয়। এখনও সারা পৃথিবীতেই সমাজের বেশির ভাগ জায়গায় লিঙ্গবৈষম্য বর্তমান রয়েছে। পুরুষরা এখনও বহু ক্ষেত্রে বেশি মাত্রায় সুবিধা ভোগ করেন। আর সেই কারণেই এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বৃপূর্ণ। শিল্প-সাহিত্য-সহ সব ধরনের ক্ষেত্রে এবং সমাজের সমস্ত কাজে মহিলাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।

প্রতি বছরের মতো এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একটি থিম রয়েছে। এবারের থিম ‘DigitALL: Innovation and technology for gender equality’। অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তিক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা। এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীই বিপুল পরিমাণে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। আর সেই ক্ষেত্রেই এখনও পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় বেশি সুবিধা ভোগ করে আসছেন। সেটি ঘোচাতেই এবারের বিশেষ থিম এটি।