ভারতের সর্বকনিষ্ঠ গুপ্তচর সরস্বতী রাজামনি
ডেস্ক: সরস্বতী রাজামনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক। সেনাবাহিনীর সাময়িক গোয়েন্দা শাখায় কাজ করার জন্য তিনি সুপরিচিত। তিনি রানী ঝাঁসি ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন এবং নারী আর্য তার সহকর্মী ছিল।
রাজামনির জন্ম বার্মার রেঙ্গুনে। সেখানে তিনি নেতাজি সুভাষ চান্দ্রা বসুর ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়। ১৬ বছর বেশি সরস্বতী তার সমস্ত গহনা আইনত দেন করেছিলেন। নির্বোধ ভাবে গহনা দান করেছে বুঝতে পেরে নেতাজি তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে রাজমনি অনড় ছিলেন যে তিনি এটি সেনাবাহিনীর জন্যই ব্যবহার করবেন। তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় মুগ্ধ হয়ে তিনি তার সরস্বতী নামকরণ করেছিলেন।
১৯৪২ সালে, রাজমনি আজাদ হিন্দ ফৌজের রানী ঝাঁসি রেজিমেন্টে নিযুক্ত হন এবং সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা শাখার অন্তর্ভুক্ত হন।
প্রায় ২ বছর ধরে রাজামনি এবং তার কিছু মহিলা সহকর্মী ছেলে ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। ছেলে বেশে সেজে থাকার সময়ে তার নাম ছিল মনি।
তার এক সহকর্মী ব্রিটিশ সেনার হাতে ধরা পড়ে। তাকে উদ্ধার করার জন্য রাজামনি নর্তকীর পোশাক পরে ব্রিটিশ শিবিরে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশ অফিসারদের নেশাগ্রস্থ করে তার সহকর্মীকে মুক্ত করেছিলেন। পালানোর সময়ে এক ব্রিটিশ রক্ষী রাজামনিকে তার পায়ে গুলি করেছিল, কিন্তু তার পরেও তিনি পালিয়ে আস্তে সক্ষম হন।
২০১৮ এ কার্ডিয়াক এরেস্টে মারা গেলেন মুক্তিযোদ্ধা শ্রী সরস্বতী রাজামনি। তার শেষকৃত্য চেন্নাইয়ের রায়পেট্টাহের পিটার্স কলোনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।