হাওড়া থেকে দিল্লি যাবার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের রাজ্য সরকারের প্রতি মন্তব্য
ডেস্ক: ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের অনশন চলছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিল্লি যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে বলেন রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে সরকার এবং সরকারি কর্মীদের আলোচনায় বসা দরকার। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বেরোতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন সরকার তার কর্মীদের কথা শুনছে না। চিরকুট দিয়ে বাজেটে দিয়ে ঘোষণা করেছে। কেন 6 শতাংশ দিতে পারছে না তা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলুক। কোট ডিএ এর কথা বলেছে। কর্মীদের ধর্মঘট করার অধিকার আছে। সরকার তাদের দিয়ে সব রাজনৈতিক কাজ করাচ্ছে অথচ তাদের কথা শুনছে না। তাই মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে কথা শুরু হওয়া উচিত।
বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের লটারির জেতা এখন ইডির আতসকাচের তলায়। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন একজন বারবার প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে তাহলে তা সন্দেহের কারণ আছে। ৬০ লক্ষ টাকার টিকিট ৮০ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছে। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ তার মাথায় থাকার কারণে তিনি যত অপরাধমূলক কাজ করেছেন। এখন তদন্ত হওয়ায় সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
এডিনো ভাইরাসের প্রকোপে রাজ্যের শিশু মৃত্যু বন্ধ হচ্ছে না। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন রাজ্য সরকার দিশেহারা। নেতা বাঁচাবে না মন্ত্রী বাঁচাবেন। বাচ্চাদের কথা মনে নেই। রাজ্য সরকারের উচিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে গোটা ঘটনার তদন্ত করা।
রাজ্য সরকারের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এ ব্যাপারে কটাক্ষ করে তিনি বলেন সরকার সব সময় বলেন নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু মানুষ দেখছে শিশুদের জন্য বেড নেই, ওষুধ নেই, শিশুদের চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা চাওয়া উচিত।
বিরোধী নেতাদের বাড়িতে সিবিআই এবং ই ডি অভিযান নিয়ে দিলীপবাবু বলেন প্রতিবার ভোট এলেই বিরোধীরা নানা ইসুতে শোরগোল তোলার চেষ্টা করে। আগে রাসেল, পেগাসাস সহ নানা ইস্যুতে চেঁচামেচি করেছিল। এখন আবার সিবিআই এডিকে নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু সিবিআই বা ইডি যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই টাকা উদ্ধার করছে। এই টাকা বিরোধীরা পেয়েছে চাকরি বিক্রি করে অথবা জমি বিক্রি করে। এটা মানুষ দেখছে। আগামী ভোটের আগে বিরোধীদের অর্ধেক নেতা জেলে চলে যাবে। বিরোধীরা মোদির সঙ্গে পেরে উঠছে না। বিরোধীরা পিছু হটছে। আগামী লোকসভা ভোটেও বিজেপি জিতবে। বিরোধীরা কিছু করতে পারবে না।