ডেস্ক: সাগরদিঘী উপনির্বাচনে হার , সংখ্যালঘু অঞ্চলে পরাজয় । দুর্নীতির দায়ে প্রতিদিন শাসকের মুখে কালি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার চাপ আর হাইকোর্টে একের পর এক সেটব্যাক । কি হবে মোকাবিলার পথ। কি রণ কৌশলে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেবে তৃণমূল ? কি স্ট্র্যাটেজি সামনে আনবেন মমতা। সেই উত্তর পেতেই আজকের মেগা বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কালীঘাটে দলের একাধিক শীর্ষ নেতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্বের সাথে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহের মধ্যেই এই বৈঠক রাজনৈতিক মহলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সাগরদিঘী উপনির্বাচনে পরাজয়। দুর্নীতি কান্ডে দলের একাধিক নেতার নাম জড়ানো। এর পাশাপাশি ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপি বিরোধীতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা সংসদে ও দেশে ঠিক কি হতে চলেছে সেই বার্তা আগামীকাল দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরদিঘী উপনির্বাচনের হার পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দলের ক্ষতি করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই লাগাতার মানুষের কাছে পরিষেবা ও রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস দল রয়েছে তা বোঝানোর কথা বলা হবে।
সংখ্যালঘু এলাকায় ভোটের ফল খারাপ হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। এটা দেখার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক দলের সংখ্যালঘু মুখকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল পঞ্চায়েতের কাজেও একাধিক সংখ্যালঘু নেতাকে সামনের সারিতে দেখা যেতে পারে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কড়া হচ্ছে দল। প্রার্থী বাছাইয়ে দলের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত তা জানিয়ে দেওয়া হবে আরও একবার। পুরানো কারা ভোটে লড়ার সুযোগ পাবেন সেক্ষেত্রে মাপকাঠি হবে তাদের পারফরম্যান্স বিগত ভোটে ও ওই পঞ্চায়েতের কাজে।
দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচী থেকে মানুষের চাহিদা কি তা জেনেছে দল। একই সাথে কোথায় কোথায় সমস্যা তাও জেনেছে দল। এই অবস্থায় সেই কাজ শেষ করতে এখন থেকেই ঝাঁপাবে দল। দলের কেউ তাতে বাধা দিলে কড়া শাস্তির নিদান। এছাড়া একাধিক প্রচার মূলক কর্মসূচীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপি বিরোধীতায় সরব তৃণমূল । পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গেও নেই মমতার দল । দিন দিন সম্পর্ক ঠেকছে তলানিতে । অন্যান্য আঞ্চলিক দল গুলি কে সঙ্গে করে এগোতে চাইলেও দিল্লিতে আপাতত তৃণমূল একলা চলো নীতি নিয়েই চলেছে ।
বিশেষত সাগরদিঘীর ‘অশুভ’ জোটকে সামনে রেখে এ রাজ্যে কংগ্রেসের সুবিধাবাদী ভূমিকা প্রচারে রাখতে চায় বাংলার শাসক দল। সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনে ও নিজ নিজ শক্তিশালী জায়গায় পৃথক লড়াইয়ের ফর্মূলায় জোর দিতে পারে তৃণমূল । গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে ভাল ফল না হলেও সংগঠনের কাজ থেকে পিছিয়ে আসবে না তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বোপরি পঞ্চায়েত ভোটকে অ্যাসিড টেস্ট ধরে নিয়ে লাগাতার মানুষের সমস্যাকে ইস্যু করে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নেওয়া হতে পারে এই বৈঠক থেকে।