ডেস্ক: সকাল থেকেই কোর্ট ও সিবিআই হেডকোয়ার্টার এর মাঝে টানাপোড়েনে অসুস্থতার শিকার হয় চার অভিযুক্ত মন্ত্রীরা।
অন্তর্বর্তী জামিন ঘোষণার পর সেটি খারিজ করে দেয়া হয় হাইকোর্ট দ্বারা। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদ এর মধ্যে পড়ে যায় অভিযুক্তরা। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন জেলের মধ্যেই। রাতেই নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিছু টা সুস্থ হলে নিয়ে আসা হয় জেলে। কিন্তু সকালে শারীরিক অবনতি ঘটে আরও একবার। ফলে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তাকে পুলিশ গাড়িতে করেই নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
সূত্রে জানা যায় সুব্রত ও ফিরহাদ সকাল থেকে চা-জল ছাড়া কিছু খাননি। ব্রেকফাস্ট ও করেননি তারা। ঘুমের পরিমাণ ছিল স্বল্প। রাতে এত উদ্বেগের কারণেই ঘুম হয়নি তাদের। সুব্রত’র পরিবারের সদস্যরা সিবিআই এর কাছে আবেদন জানান জেলের পরিবর্তে, হাসপাতালে রাখা হোক তাকে। কারণ তার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। সিকিউরিটি মারফত জেলের ভেতরে ওষুধ পৌঁছায় তার কাছে।
তারপরে খবর আসে ফিরহাদ হাকিমের শারীরিক অবস্থার অবনতির দিকে। খবরটি জানায় তার আইনজীবী। পরে ফিরাদের কন্যা সাবা জেলে বাবার সাথে দেখা করে আসার পর খবর দেয় বাবা সুস্থ আছেন।
অন্যদিকে ভোররাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র শোভন চট্টোপাধ্যায় রাত সারে তিনটে নাগাদ আচমকাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় মদন মিত্রের বেশ কিছুদিন আগে কোরোনা কে হার মানিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন মদন মিত্র।
তারপরেই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় মদন মিত্র কে। তার কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে শারীরিক সমস্যার শুরু হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তাকেও নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে ভোর পাঁচটা নাগাদ শোভন চট্টোপাধ্যায় কে ওয়ার্ডের দরজায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য পুলিশ হাতে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়।
ইতিমধ্যে লিগাল সেলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সিডিআই আধিকারিকরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে। যদি রায় তাদের পক্ষে না হয় তাহলে জামিন বাতিলের আর্জি নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে।
সিবিআই আধিকারিকরা নিয়মিত হাসপাতাল ও জেল কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চ্যাটার্জি স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন।