লোকসভার সদস্য পদ খারিজ হলো রাহুল গান্ধীর

ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ হলো সংসদে । লোকসভার সচিবালয় সূত্রে এই খবর । এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল লোকসভার সচিবালয়। মোদিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গতকালই সাজা শুনিয়েছিল সুরাতের আদালত । রাহুলকে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিলেন আদালত। কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গাঁধী।

এই বিষয় নিয়ে বিজেপিকে একহাত নেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীকে খারিজ করার সব চেষ্টাই করেছে বিজেপি রা। যাঁরা সত্যি বলছেন, তাঁদের রাখতে চান না ওঁরা। কিন্তু, আমরা সত্যিটা বলে যাব। আমরা জেপিসি-র দাবি করব। প্রয়োজন পড়লে গণতন্ত্র রক্ষা করতে আমরা জেলে যাবে।”

৩ বছর আগে, মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য গুজরাতের সুরাত আদালতে দোষী সাবস্ত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। সাজা ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জামিনও পেয়ে যান কংগ্রেস সাংসদ !

এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাহুলকে তীব্র আক্রমণ করলেও, নিজের অবস্থানে অনড় কংগ্রেস সাংসদ ! ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্য় করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি মোদি কেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলার রায় ঘোষণার জন্য , বৃহস্পতিবার সকালেই গুজরাতের সুরাত আদালতে পৌঁছান রাহুল।

লন্ডনে ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে কার্যত সংসদ অচল করে রেখেছে বিজেপি শিবির। ভারত জোড়ো যাত্রায়, নারী নির্যাতন নিয়েমন্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্য জানতে, সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর দুয়ারে পৌঁছে গেছিল দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুরনোমন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে সাজা শোনায় গুজরাতের আদালত। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। ৩০ দিনের জন্য সাজা কার্যকরও স্থগিত রাখা হয়।

কিন্তু, তিনি যে জেলের ভয় পান না, তা স্পষ্ট করে, মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে, ওয়েনাডের কংগ্রেস সাংসদ ট্য়ুইট করে বলেন, আমার ধর্ম সত্য এবং অহিংসা ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সত্য আমার ঈশ্বর, আর অহিংসা তার কাছে পৌঁছনোর উপায়।

রাহুল গান্ধীর শাস্তির প্রতিবাদে গতকাল বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসকর্মীরা। পরে বিক্ষোভকারী কংগ্রেসকর্মীদের আটক করে পুলিশ।