হাওড়া শিবপুর থানা এলাকা জিটি রোড চত্বরে রামনবমীর মিছিল পরিণত হলো রণক্ষেত্রে!

ডেস্ক: হাওড়া শিবপুর থানা এলাকা জিটি রোড চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে রামনবমীর মিছিল ঘিরে ভাঙচুর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। গাড়িতে আগুন। ভয়ে, তড়িঘড়ি দোকানের ঝাঁপ নামালেন ব্য়বসায়ীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ. স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে তেতে ওঠে এলাকা। মুহূর্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ২ পক্ষ। পরপর গাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে বাস, টোটো, বাইক, অটো, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ করে ছোড়া হয় ইট পাটকেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে, হাওড়া সিটি পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামে র‍্যাফ। তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

এদিন রামনবমীর মিছিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নামঞ্চ থেকে বলেন, ‘ রামনবমী চলছে। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করুন। তারা নাকি তরোয়াল নিয়ে বেরোবে। শুধু বলবে, কোপ মেরো না। তাহলে কিন্তু রেহাই পাবে না। ক্রিমিনাল অফেন্স ইজ ক্রিমিনাল অফেন্স। ‘

রামনবমীর দিন রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছিল বিজেপি। সারা দিন হাওড়ার রামরাজা মন্দিরে আনাগোনা চলল গেরুয়া শিবিরের লিডারদের। সাতসকালে সজল ঘোষ, তারপর দিলীপ ঘোষ, বিকেলে শুভেন্দু অধিকারী, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের আনাগোনায় দিনভর মুখর ছিল হাওড়ার রামরাজাতলা মন্দির।

মধ্য হাওড়ার খুরুট রোড থেকে রামরাজাতলার রাম মন্দির পর্যন্ত অস্ত্রমিছিলে অংশ নেন বিজেপি নেতা ও কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সজল ঘোষ। বিকেল বেলা শিবপুরের রামনবমী মিছিল ঘিরে তৈরি হয় উত্তেজনা। রাত পেরোলেও টাটকা উত্তেজনার ছাপ। এখনও এলাকায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। । ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, গাড়িতে আগুন! বাদ গেল না কিছুই। হাওড়া সিটি পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকে এসেছিল পুলিশ। সেই সংঘর্ষ ঘিরে চড়ছে রাজনৈতিক তরজার পারদ। রামনবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষের পর আজও থমথমে শিবপুর।

এই হিংসাকাণ্ডে ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কর্মীদের বাধা দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
তাতেই থেমে যায়নি বিক্ষোপকারীরা। পরদিন সকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ও পুলিশের ওপর ইট বৃষ্টি , দোকান পাঠ ভাঙচুর শুরু করেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ রা আতঙ্কে রয়েছে। পুলিশ, র‍্যাফ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।