ডেস্ক: পৃথিবীসুদ্ধ সব মানুষেরই কমেছে আয়ু। গড় আয়ু নিয়ে সম্প্রতি এমনটাই মতামত জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-র কথায়, ১.৮ বছর অর্থাৎ প্রায় দুই বছর গড় আয়ু কমে গিয়েছে। যার ফলে পুরো এক দশকের উন্নয়ন জলে গিয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়ন পিছিয়ে গিয়েছে ১০ বছর। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে, একজন ব্যক্তির গড় আয়ুর গ্রাফ এখন উল্টে গিয়েছে। অর্থাৎ আয়ু বাড়ার বদলে কমে গিয়েছে। কেন এই ঘটনা ঘটেছে, তাও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
WHO -র কথায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়েছিল। এই করোনার জেরেই মানুষের স্বাস্থ্য ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ এই প্রতিষ্ঠানটির মতে, এই দুই বছরের ক্ষতি সারা বিশ্বকে ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার একটি বিবৃতিতে বলা হয়, আগে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭৩.২ বছর। বর্তমানে সেটি কমে গিয়েছে ১.৮ বছর। ফলে নতুন বয়স হয়েছে ৭১.৪ বছর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক স্বাস্থ্য় সমীক্ষা শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই জানা গিয়েছে এই তথ্য।
গড় আয়ু যেমন কমেছে, তেমনই কমেছে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সময়ও। সুস্থভাবে বেঁচে থাকা বলতে বোঝায় কোনও ক্রনিক রোগ ছাড়া সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকা। ২০১২ সালের হিসেব অনুযায়ী, নীরোগ অবস্থায় বেঁচে থাকার সময় ছিল ৬৩.৪ কিন্তু ২০২১ সালে তা কমে গিয়েছে দেড় বছর। বর্তমানে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সময় ৬১.৯ বছর।
WHO -র সমীক্ষকদের মতে, বিপদ সমীক্ষায় যতটা দেখা যাচ্ছে, তার থেকেও কিছুটা বেশি। ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে ওই জার্নাল। তাতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি চলাকালিনই মানুষের গড় আয়ু কমে গিয়েছিল ১.৬ বছর। গত ৫০ বছরে আর কোনও রোগ এত বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারেনি মানুষের গড় আয়ুর উপর।
টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস বলেন, বিশ্ব জুড়ে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন এই মুহূর্তে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগও দরকার। যা সাম্য এনে দেবে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার মধ্যে।