
ডেস্ক: বাংলায় শেষ দফার ভোটের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভোটের ফল ঘোষণার দিনও বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
বৃষ্টির পূর্বাভাস বঙ্গে: জুন মাসের প্রথম চারদিন দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার, কোথাও ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার হলুদ সতর্কতা রয়েছে। অন্যদিকে, আজ থেকে শনিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি, এই ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি থাকছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবেই উত্তরবঙ্গে এই বৃষ্টি। এর মধ্যেই আশার খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ১০ জুনের মধ্যে বঙ্গে পা রাখতে পারে বর্ষা। তবে সবটাই নির্ভর করছে কেরলে কবে বর্ষা ঢুকবে তার ওপর।
জুন মাসের ১ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা জুড়ে বৃষ্টি হবে। বজ্র বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস।
বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ এবং কোথাও কোথাও ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়ার হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে কোনও কোনও জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি।
আজ, কাল ও পরশু উত্তরের ৫ জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।
গত রবিবার মধ্যরাতে বাংলায় আছড়ে পড়েছিল রেমাল। যার প্রভাবে সোমবারও ভারী বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে। তবে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের বৃষ্টির জন্য রেমালের ছেড়ে যাওয়া জলীয় বাষ্প দায়ী। সঙ্গে আছে শক্তিশালী অক্ষরেখা। দক্ষিণের বৃষ্টির জন্য আঞ্চলিক মেঘপুঞ্জ দায়ী। এই স্থানীয় মেঘপুঞ্জ পরোক্ষে রেমাল দায়ী। কারণ ভারী বৃষ্টির পর ভূপৃষ্ঠে থাকা জল সূর্যের তাপে নতুন করে জলীয় বাষ্প তৈরি করছে। এদিন বর্ষা প্রবেশ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেরলে মৌসুমী বায়ু প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ। জুন মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। কেরলে কবে বর্ষা ঢুকবে তার উপর নির্ভর করছে সবটা।