৩৩ বছর আগেও প্রধানমন্ত্রী কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছিলেন

ভাইরাল ১৯৯১ সালের ছবি

ডেস্ক: কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানস্থ প্রধানমন্ত্রী । ৪৫ ঘণ্টার আধ্যাত্ম-সাধনা। অহরহ সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে সেই ভিডিও। আর তা নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি। কেন প্রচার শেষের লগ্ন পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর ধ্যান করার ভিডিও প্রকাশ্যে। ভোটের আগে এই মোদির এই ধ্যান করাকে প্রচারের অঙ্গ হিসেবেই দেখছেন বিরোধীরা। নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধিভঙ্গ হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। মোদির এই ধ্যান করা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দেশের তাবড় নেতারা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ছবিটি ৩৩ বছর আগে তোলা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সেখানেও তাঁকে স্বামীজির মূর্তির সামনে শ্রদ্ধাবনত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। তখন তিনি বিজেপির তরুণ নেতা। ছবিটি মোদি আর্কাইভ নামে একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। । এক্স হ্যান্ডেলে ছেয়ে গিয়েছে ছবিটি। একের পর এক হ্যান্ডেলে শেয়ার হয়েছে ছবিটি। এনডিটিভি সূত্রে দাবি, ছবিটি ১৯৯১ সালে একতা যাত্রার সময় তোলা হয়েছিল, যা কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল এবং কাশ্মীরে শেষ হয়েছিল।

মোদি আর্কাইভ পেজে বায়ো থেকে জানা যায়, এই পেজটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনের আর্কাইভাল ছবি, ভিডিও, অডিও রেকর্ডিং, চিঠিপত্র, সংবাদপত্রের ক্লিপ এবং এই জাতীয় অন্যান্য সামগ্রী তুলে ধরে থাকে।

সেথানে ক্যাপশনে বলা হয়েছে, তেত্রিশ বছর আগে, দেশব্যাপী বিশাল একতা যাত্রা কন্যাকুমারীর আইকনিক বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল থেকে শুরু হয়েছিল, যা কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছয়। এই যাত্রায় ছিলেন ডক্টর মুরলী মনোহর যোশী এবং নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপির হেভিওয়েটরা। তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি প্রদক্ষিণ করেন। ১৯৯১ সালের তোলা ছবিটি।

শনিবার বারাণসীতে ভোট। লোকসভা ভোটের শেষ দফা। তারপরই আগামী ৪ জুন জানা যাবে জনতার রায়। প্রচার শেষে আগামী ১ জুন পর্যন্ত ধ্যানে বসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্ব ঘোষণা মতোই তিনি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ু পৌঁছন । এদিনই ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যান শুরু করেন নরেন্দ্র মোদি। রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেও তিনি এমন কঠিন রীতি পালন করেছিলেন । এবারও নিজেকে বেঁধেছেন কড়া নিয়মে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *