ডেস্ক : পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। আর দীর্ঘদিন ধরে রাতে না ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শরীরে রোগ বাসা বাঁধে। সম্প্রতি তেমনই একটি কঠিন রোগের ব্যাপারে সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা। সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন সেই কথা। মহিলাদের মধ্যে জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় দীর্ঘসময়ের অনিদ্রা অর্থাৎ ইনসোমনিয়া ।
গোয়া মণিপাল হাসপাতালের চিকিৎসক কিঞ্জল কোঠারি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মূলত স্ট্রেস ও উদ্বেগের কারণেই ইনসোমনিয়া হয়। ঘুমের সমস্যার জেরে প্রদাহজনিত সমস্যা বাড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যায় কমে। ম্যাঙ্গালোর কেএমসি হাসপাতালের সার্জিক্যাল অঙ্কোলজির চিকিৎসক কার্তিক কে এস-এর কথায়, ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। এর বড় কারণ অনিদ্রা বা ঠিকমতো রাতে ঘুম না হওয়া।
এক রাত ঘুম হচ্ছে না, দুই রাত ঘুম হচ্ছে না। এভাবে একের পর এক বহু রাতই ঘুমহীনভাবে কাটছে। এই সমস্যাকেই ক্রনিক বলা হয়। কারণ সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী। প্রসঙ্গত, রাতের এই ঘুম না হওয়ার কারণেই ইনসোমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রা রোগ হয়। এই অনিদ্রা রোগে মেয়েদের মধ্যে অনেকেই ভোগেন। যার জেরে বিভিন্ন রোগ হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তেমনই একটি রোগ হল ওভারিয়ান ক্যানসার বা জরায়ুর ক্যানসার।
ভারতে ওভারিয়ান ক্যানসার বা জরায়ুর ক্যানসারে অনেকেই ভোগেন। পরিসংখ্যান বলছে, এই ক্যানসারে বিশ্বের মধ্যে ভারত দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে রয়েছে চিন। অর্থাৎ রোগটি মোটেই অবহেলার নয়। প্রসঙ্গত, সন্তান জন্মের পর এই ক্যানসারের ঝুঁকি দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। অর্থাৎ একটু বেশি বয়সে বা মেনোপজের আগে এই রোগ দেখা যায়।
অনিদ্রা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমেই স্ট্রেস থেকে মুক্তি দরকার। এর জন্য রোজ রাতে শোওয়ার আগে কিছুক্ষণ এসেনশিয়াল তেল মালিশ করতে পারেন কপালে।
মানসিক স্ট্রেস কমাতে রোজ প্রাণায়ামের অভ্যাস করা বিশেষভাবে জরুরি।
শোওয়ার ২-৩ ঘন্টা আগে সেরে ফেলতে হবে নৈশভোজ। খাবার খাওয়ার পর হাঁটাচলা করা দরকার।যাতে তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়।
ঘুমের সময় মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি। মোবাইলের নেশা ইনসোমনিয়া ও ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।