ডেস্ক: আজও চলবে তাপপ্রবাহ । বেলা হতে না হতেই দমবন্ধ গরমে হাঁসফাঁস করছে শহর থেকে জেলা। এর মধ্যে স্বস্তির কোনও কথাই শোনাতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। তবে সপ্তাহ শেষের জন্য সামান্য আশার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
পুরুলিয়া , পশ্চিম বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তীব্র তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানে।
আবহাওয়া অফিসের পরামর্শ, তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া এড়াতে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোদে বেরোবেন না। বেরতে হলে সঙ্গে রাখুন জল ও ছাতা। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে বেশি বেশি করে জল খেতে হবে, পরামর্শ চিকিৎসকদের।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে বিকেলের দিকে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও বিকেলের দিকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৩ ডিগ্রি বেড়ে হয়েছে ৩০.১ ডিগ্রি। শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য বেড়ে হয় ৩৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সকালে ছিল ৬৬ শতাংশ। বেলা বাড়লে ৪৭ শতাংশ হয়।
উত্তরবঙ্গে ১৭ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজ আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোচবিহার ও দার্জিলিংয়ে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। এই দুই জেলায় ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির ফলে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা ও সঙ্কোশ নদীর জলস্তর বাড়বে। নীচু জায়গায় জল জমতে পারে। কোথাও কোথাও কোথাও ধস নামতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শুক্রবার ১৪ জুন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে এদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলতে থাকবে। দার্জিলিয়ের পার্বত্য এলাকাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও।