ডেস্ক: ৫ বছর পর, ভারতে মানুষের শরীরে মিলল ভাইরাসের স্ট্রেন। এরই মধ্যে বার্ড ফ্লু নিয়ে ভয়ঙ্কর আশঙ্কা প্রকাশ করল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ডিরেক্টর রবার্ট রেডফিল্ড। বলা হয়েছে, করোনার পর এই বার্ড ফ্লু বিশ্বে মহামারীর আকার ধারণ করতে চলেছে।
রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে এই বার্ড ফ্লু কেবল নিছক রোগ হিসেবে নয়, আগামী দিনে মহামারীর আকার নিতে চলেছে। এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুহারও বাড়তে পারে।’ তিনি এও বলেন, কোভিড-১৯-এর জন্য মৃত্যুর হার ০.৬ শতাংশ হলেও বার্ড ফ্লুতে মৃত্যুহার সম্ভবত ২৫ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে হতে পারে। গত মাসেই মার্কিন মুলুকে ভয়ঙ্করভাবে থাবা বসিয়েছে বার্ড ফ্লু। সেখানের গবাদি পশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ১৫ জনের মধ্যে ছড়িয়েও পড়েছে এই ভাইরাস।
তবে এই ভাইরাস মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে আদৌ কি করোনার মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে? সিডিসির ডিরেক্টরের কথায়, এই বার্ড ফ্লুর জিন-এও পাঁচটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকতে পারে। যা হিউম্যান রিসেপ্টর প্রোটিনের সঙ্গে মিলে একজনের থেকে অপরজনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে জিনের এই বদল হওয়া সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ রবার্ট রেডফিল্ড।
করোনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও চোখের পলকে অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিবর্তন করে তা মহামারী পেরিয়ে অতিমারীর রূপ নিয়েছিল।
এদিকে, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে মালদার বাসিন্দা ৪ বছরের এক শিশু। একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে World Health Organization বা WHO জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ভারতে মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়ল। বর্তমানে শিশুকে বাড়িতেই রাখা হয়েছে। কিন্তু, পরিবারের বক্তব্য এখনও তার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা মেটেনি। বেশিরভাগ সময়ই রাখতে হচ্ছে অক্সিজেন সাপোর্টে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় বার্ড flu-র ভাইরাস H9N2-তে মূলত আক্রান্ত হয় শিশুরা। তবে তাতে অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে।