ডেস্ক: বর্ষার বৃষ্টি শুরু দক্ষিণের সব জেলায়। সেই বৃষ্টির ব্যাপকতা আজ কিছুটা বাড়বে। অর্থাৎ প্রতি জেলার আরও বেশি অংশ জুড়ে বৃষ্টি। তবে ভারী বৃষ্টি এখনই নয় দক্ষিণে। বিপরীত ছবি উত্তরে। মৌসুমী বায়ু কিছুটা বিলম্বে এসেছে। কিন্তু অগ্রগতি সন্তোষজনক। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু উত্তরবঙ্গের মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এবং লাগোয়া রাজ্য বিহারের কিছু অংশে পৌঁছে গেল গতকাল বেলা আড়াইটের পর। দক্ষিণের বাকি অংশ এবং পশ্চিমের জেলায় ৪৮ ঘন্টায় সম্পূর্ন প্রভাব বিস্তার মৌসুমী বায়ুর। আগামী দু তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে পৌঁছে যাবে বর্ষা।
সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি। কলকাতা সহ সব জেলাতেই দিনের বিভিন্ন সময়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বৃষ্টি। ২৩ তারিখ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। কমে যাবে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা। জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দার্জিলিং জলপাইগুড়ি জেলাতেও ভারী বৃষ্টি। মালদা উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শনি এবং রবিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। অতিবৃষ্টি কোচবিহারে। গত ২৪ ঘন্টায় তুফানগঞ্জে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০২.৪ মিলিমিটার। কোচবিহার শহরে ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
গত পাঁচ বছরে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসতে এতদিন সময় লাগেনি যা ২০২৪ সালে লাগল। ২০২৪ সালে ৩১ শে মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা এলেও আজ ২১ জুন অর্থাৎ ২২ দিন পরেও আনুষ্ঠানিক ভাবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসেনি।
প্রধানত মেঘলা আকাশ। রোদের দেখা মেলার সম্ভাবনা কম। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। রাতের তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই কিছুটা কমেছে। আরও সামান্য কমবে।
গতকাল বিকেলে আলিপুরে ৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ার জেরে রাতের তাপমাত্রা ২৮.২ থেকে কমে ২৬ ডিগ্রি। কাল দিনের তাপমাত্রা ৩৫.৮ ডিগ্রি। আজ কমে ৩৩ এর ঘরে পৌঁছাবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ভোরে ৫৮ শতাংশ। বেলা বাড়লে ৯৮ শতাংশ। অর্থাৎ বৃষ্টি হওয়ার আগে পরে ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি বাড়বে। দিনের যেকোনো সময়ে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস।