ডেস্ক: সোমবার থেকে গোটা দেশে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন চালু হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’র বদলে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ , ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’র বদলে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’র বদলে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’ চালু হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন কানুন ঔপনিবেশিক প্রভাবমুক্ত হবে এবং এদেশের কানুনব্যবস্থার আধুনিকীকরণে সাহায্য করবে।
তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ‘নতুন আইনের অধীন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতের কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। শুনানি শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত শোনানোর কথা বলা হয়েছে’। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই তিন আইন চালু হওয়ার পর কী কী বদল এসেছে।
১ জুলাই থেকে গোটা দেশজুড়ে চালু হওয়া এই তিন নতুন আইনের ফলে একাধিক বদল এসেছে। এখানে জিরো FIR-এর কথা বলা হয়েছে। এর অধীন অপরাধ যেখানেই হোক না কেন, সেই থানা এলাকার বাইরেও তা রেজিস্টার করা যাবে। এরপর ১৫ দিনের মধ্যে মূল থানায় পাঠিয়ে দিতে হবে। নতুন আইনে এমন একজন পুলিশ আধিকারিকের কথা বলা হয়েছে যিনি গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির পরিবারকে এই বিষয়ে জানাবেন।
নয়া আইনে ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতের রায় ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ নিয়ে বিশেষ নিয়মের কথা বলা হয়েছে। নতুন আইনে ৭ বছর কিংবা তার বেশি সাজা হওয়া অপরাধগুলির ক্ষেত্রে ফরেন্সিক পরীক্ষা অনিবার্য করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এর ফলে ন্যায় বিচার পেতে সুবিধা হবে। হিট অ্যান্ড রানের ক্ষেত্রেও নতুন আইনে বদল আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর অধীন প্রথম FIR দায়ের হয়ে গিয়েছে। রাজধানী দিল্লির কমলা মার্কেট পুলিশ স্টেশনে ওই FIR দায়ের করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৮৫ ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে। এদিকে কলকাতাতেও ইতিমধ্যেই নতুন আইনের ধারা দিয়ে কলকাতা পুলিশ শতাধিক কেস করেছে বলে খবর।
দেশজুড়ে নয়া তিন ফৌজদারি আইন চালু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, নতুন এই তিন আইন ‘শাস্তি’ নয় বরং জনগণকে ন্যায়বিচার দেবে। ব্রিটিশ আমলের কয়েকটি সেকশন নতুন আইন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।