রথের দিন উদ্বোধন হচ্ছেনা দীঘার জগন্নাথ মন্দির , জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী !
ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণকাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। বেশ কিছু কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। তাই এই রথে উদ্বোধন হচ্ছে না দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। এবছর দিঘায় রথযাত্রা হচ্ছে না। রথের দড়িতে টান পড়ছে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী এও আশ্বাস দিয়েছেন যে, সামনের বছর দিঘায় রথযাত্রা হবে। আগামী বছর থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের রথের রশিতে টান পড়বে।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, পুরীর ঐতিহ্যশালী জগন্নাথ মন্দিরের অনুরূপে পশ্চিমবঙ্গে দীঘায় আমরা জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার একটি গর্ব-উদ্দীপক মন্দির তৈরি করছি, যেখানে প্রতিবছর রথযাত্রাও পালিত হবে। আগামী বছর থেকেই এই মন্দিরে রথের রশিতে টান পড়বে। কিছু অন্যরকম কথা শোনা গেলেও প্রকৃত বাস্তব হল, কিছু কারিগরি কাজ ও পদ্ধতি এখনও অসম্পূর্ণ থাকায়, আমরা আগামী বছর থেকেই দিঘায় রথযাত্রা পালন করব। পুরীর মন্দিরের রথযাত্রা যেভাবে পালিত হয় সেভাবেই ভক্তি ও শ্রদ্ধায় পালিত হবে দিঘার রথযাত্রা। সবাই সেখানে আমন্ত্রিত। এই নতুন মন্দির ও উৎসব হবে সারা ভারতের নতুন সম্প্রীতি-সাধনের প্রকল্প।”
প্রসঙ্গত, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে দায়ের হওয়া মামলা বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রসঙ্গত, হিডকো শুধু রাজারহাটে উন্নয়নের কাজ করতে পারে । এর বাইরের কোনও জায়গায় পরিকাঠামো উন্নয়ন করার ক্ষমতা হিডকোর নেই। এই আবেদনে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ বিভিন্ন কাজ করতেই পারে। এতে ভুল কী আছে? পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। তারা যে কোনও বিভাগকে দায়িত্ব দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। আদালতের এই রায়ের পরই দিঘায় জগন্নাথের মন্দির নির্মাণ নিয়ে আইনি জট কেটে যায়।
বাঙালির অন্যতম পছন্দের সৈকত শহর দিঘা। ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সেই সৈকত শহরেই এই মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। বরাদ্দ করা হয় ২০০ কোটি টাকা। নিউ দিঘা স্টেশন সংলগ্ন নন্দকুমার-দিঘা ১১৬বি জাতীয় সড়কের পাশে ২২ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে এই জগন্নাথ মন্দির। যা পুরোপুরি বাঙালির আরেক জনপ্রিয় তীর্থস্থান পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি। উচ্চতায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই, সেইসঙ্গে দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের পারিপার্শ্বিক নকশাও কিছুটা এক থাকছে পুরীর মন্দিরের সঙ্গে।