ডেস্ক: বাংলার জনগণের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় সেই জন্য সদাসচেষ্ট থাকেন তিনি। মঙ্গলবার যেমন এই কারণেই নবান্নে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ক্রমবর্ধমান সবজির দাম নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই আম জনতার কপালে ভাঁজ দেখা যাচ্ছে। আলু, পটল, কুমড়ো- কিছুতেই যেন হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সব কিছুর আগুন দাম ! ৫০০ টাকায় এখন ব্যাগ ভরা তো দূর, অর্ধেক ব্যাগ বাজারও ঠিক মতো হয় না। এই পরিস্থিতিতে রাশ টানতে গতকাল বিকেলে বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে বেশ কিছু কড়া নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ শুরু হয়েছিল বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আধিকারিকরাও। সেখানে স্থানীয় চাষিদের থেকে পেঁয়াজ কেনায় উৎসাহ প্রকাশ করা থেকে শুরু করে কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সবজির দামে রাশ টানার কথাও বলেন।
টাস্ক ফোর্সের কাজে হতাশা প্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধি রোখার জন্য টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছিলাম। কবে তারা শেষবার বৈঠকে বসেছে আমি জানি না। যতদিন দাম কমছে না, ততদিন বৈঠকে বসতে হবে। আমি মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে নির্দেশ দিচ্ছি কতটা দাম কমেছে সেটা নিয়ে আমার প্রত্যেক সপ্তাহে রিপোর্ট চাই। আগামী ১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতেই হবে’।
এদিন বড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হিমঘরে আলু আটকে রাখার অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের হিমঘরগুলিতে কেন প্রচুর পরিমাণে আলু রয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইসঙ্গে আলু অথবা পেঁয়াজ ভিন রাজ্যে রফতানি করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সীমানায় নজরদারির নির্দেশ দেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন পরিষ্কার বলেন, ১০ দিনের মধ্যে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সেই জন্য বুধবার থেকেই পুলিশ-প্রশাসনকে বাজারে নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি। প্রত্যেক সপ্তাহে টাস্ক ফোর্সকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যসচিব এবং ডিজির কাছে কতটা দাম কমল সেটার সাপ্তাহিক রিপোর্টও চেয়েছেন তিনি।