ডেস্ক: আগামী ২৫ জুন বিজেপি এই ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালনের ডাক দিল। কেন? কোনও প্রেক্ষিত আছে কি? ‘ইন্ডিয়া ব্লক’ বারবার শাসকদলের প্রতি সংবিধানকে ধুলোয় লুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে এসেছে। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই এটা চলছে। এবার তাই কি ‘ইন্ডিয়া ব্লক’কে চাপে ফেলার জন্যই বিজেপি সরকার এই ‘সংবিধান হত্যা দিবসে’র মতো একটি দিনের কথা ভাবল? অন্তত তেমনই মত সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহলের।
বিজেপির আমলে দেশে মোটেই গণতন্ত্র নেই, নেই বাক স্বাধীনতা, নেই আচরণগত স্বাধীনতা, নেই জীবন যাপনের স্বাধীনতাও। বিজেপির আমল শুধুই কণ্ঠরোধের সুদীর্ঘ ইতিহাস। এমনই পর্যবেক্ষণ বিজেপি-বিরোধী শিবিরের। কংগ্রেস বরাবর এমন অভিযোগ তুলে এসেছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে তৃণমূলের শিবিরের তরফেও। ভোট বা ভোটের পরেও নানা সময়ে নানা ইস্যুতে বিজেপি-বিরোধী শিবির ‘ইন্ডিয়া ব্লক’ নরেন্দ্র মোদীর দলের বিরুদ্ধে এই চেনা অভিযোগটাকেই হাতিয়ার করেছে।
এখন সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, সম্মিলিত বিরোধীর এই আক্রমণকে প্রতিহত করতেই বিজেপি ইতিহাসের দিকে ঘুরে তাকিয়েছে। তুলে এনেছে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দিনটিকে। কারণ, ওই দিনেই কংগ্রেস নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে ইমার্জেন্সি চালু করেছিলেন। দিনটিকে বিরোধীরা তখন কালা দিন হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এবার সেই দিনটিকে জুড়ে কংগ্রেসের যে-অস্বস্তি রয়েছে সেটাকে হাতিয়ার করেই আসরে নামতে চাইছে বিজেপি।