সাপ পেঁচিয়ে রেখেছিলো জগন্নাথ দেবের রত্ন ভান্ডার !

ডেস্ক: পুরীর রত্ন ভাণ্ডারে কী রয়েছে তাতে, সারা ভারতের নজর ছিল সেই দিকেই। আদৌ কি খোলা যাবে রত্নভাণ্ডার, সন্দেহ ছিল অনেকেরই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দরজা খুলল নীলমাধবের রত্নভাণ্ডারের। এই ভাণ্ডারকে নীলাচলের প্রভুর কোষাগারও বলা হয়। রবিবার অবশেষে খুলল দরজা।

ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ, কোষাগারের অন্দরমহল ঘুরে এসে দিলেন চমকপ্রদ তথ্য। সংবাদ সংস্থা আইএএন এনেছে। বহু দিন বন্ধ পড়ে ছিল রত্নভাণ্ডার। তাই ভেতরে বাসা করে থাকতে পারে সরীসৃপের দল, ভয় ছিল। সেই সঙ্গে কোষাগার ঘিরে তো অজস্র কিংবদন্তি ছিলই। তাই রীতিমতো সর্প বিশারদদের নিয়ে প্রবেশ করলেছিল ১১ জনের দল।

বিচারপতি জানালেন, যেহেতু মন্দির পরিচালনার সঙ্গে সাত থেকে আট জন ব্যস্ত ছিলেন বহুদা যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে, তাই রত্নভাণ্ডারের অলঙ্কারগুলি গোনা যায়নি। পরীক্ষা করে দেখা যায়নি। সেগুলি স্থানান্তরের জন্য বেশি সময়ও পাওয়া যায়নি। তাই আমরা দেবতাদের অলঙ্কার এবং মূল্যবান পাথর স্থানান্তরের জন্য আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী বলেন, বাইরের কোষাগারে সঞ্চিত গহনাগুলি ‘মন্দির চত্বরের অভ্যন্তরে একটি অস্থায়ী স্ট্রংরুমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেটি সিল করা হয়। তিনি আরও বলেন, পুরীর রাজা গজপতি মহারাজের কাছে রাখা চাবিগুলি দিয়েই তালা খোলা হয়েছিল।

১৯৭৮ সালে শেষবার অডিট হয়েছিল রত্ন ভাণ্ডারের। ২০১৮ সালে একবার রত্ন ভাণ্ডার খোলার চেষ্টা করা হয়। ১৬ জনের দল ঢোকার চেষ্টা করেন ভিতর ভাণ্ডারে। কিন্তু কোনও কারণে মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যেই সেই অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্ষমতায় এসে আবার রত্ন ভাণ্ডারের অডিট করার সিদ্ধান্ত নেয় ওড়িশার বিজেপি সরকার।