ডেস্ক: অবশেষে ব্রিটেন থেকে ভারতে ফিরল শিবাজির সেই ঐতিহাসিক ‘বাঘনখ’। ‘বাঘনখ’ হল এক ভয়ংকর অস্ত্র, মূলত গোপন থাকত। বাঘের নখের মতো দেখতে ধারালো ছোরা-জাতীয় অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়েই ১৬৫৯ সালের ১০ নভেম্বর বীজাপুর সাম্রাজ্যের মুঘল সেনাপতি আফজল খানকে হত্যা করেছিলেন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ।
পরবর্তী কালে তা হাতবদল হয়ে ইংল্যান্ডে চলে যায়। লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে সেটি প্রদর্শিতও হয়।
সেখান থেকে ঐতিহাসিক ওই ‘বাঘনখ’ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরই মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরই তা ভারতে ফিরে আসার কথা ছিল। এবং কথামতো তা বুধবার (১৭ জুলাই) তা মুম্বইয়ে ফিরল।
আসলে প্রথম দিকে, সাতারায় মহারাজ ছত্রপতি শিবাজির উত্তরাধিকারীদের কাছে ওই ‘বাঘনখ’ ছিল। পরবর্তী কালে তা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তা জেমস গ্র্যান্ট ডাফের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তৎকালীন পেশোয়া। সেই ‘বাঘনখ’ সঙ্গে নিয়েই ব্রিটেনে ফিরে যান তিনি। পরে ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামের হাতে ঐতিহাসিক সেই অস্ত্র তুলে দেন ডাফের পরিবারের লোক।
জানা যায়, আঙুলের গাঁটে বাঘনখ পরে থাকতেন শিবাজি। এটি এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছিল। ছত্রপতির হাতের তালুর নীচে এমনভাবে এই বাঘনখ থাকত যে, তা কেউ টের পেত না। শিবাজি যখন আক্রমণ করতেন তখন ফালাফালা হয়ে যেত প্রতিপক্ষ।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেই ঐতিহাসিক অস্ত্রের সঙ্গে মহারাষ্ট্রবাসীর আবেগ জড়িয়ে আছে। কিন্তু মারাঠা আবেগই নয়, ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ এটি। এতদিন পরে তা দেশে ফেরায় উল্লসিত মহারাষ্ট্র, খুশি গোটা দেশ।