
ডেস্ক : বুধবার অক্ষয়তৃতীয়ার দিনই দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন ও প্রাণ-প্রতিষ্ঠা, ইতোমধ্যেই দীঘা পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবারই বাংলার নবনির্মিত তীর্থস্থান পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। সরেজমিনে মন্দিরের যাবতীয় খুঁটিনাটি পরীক্ষা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘বাংলার পুণ্যভূমিতে জগন্নাথদেবের আহ্বানে শুরু হয়েছে যজ্ঞ এবং মঙ্গলারতি। আগামী মঙ্গলবার মহাযজ্ঞ এবং অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে মন্দিরের আনুষ্ঠানিক দ্বারোদ্ঘাটন’।
জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন এবং মহাযজ্ঞের প্রস্তুতির পর্যবেক্ষণের জন্য আজ দীঘায় সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘ভারত তথা বিশ্বের বহু জগন্নাথদেবের ভক্তের আগমন হবে এই বাংলায়। তাঁদের যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা এবং আহারের যাতে কোনোরূপ অসুবিধে না হয় সেদিকে নজর দিতে পরামর্শ দিলাম’, জানান মুখ্যমন্ত্রী
পরিবহণ ব্যবস্থা সচল এবং যানমুক্ত রাখতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে ভক্তরা কোনও সমস্যায় না পড়েন।
মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ন্যায় দিঘার সমুদ্রতটের এই সৃষ্টি অর্থাৎ নবনির্মিত এই জগন্নাথ মন্দির- বাংলার নতুন কৃষ্টি, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিক চেতনার বিকাশ এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধনের প্রতিরূপ হয়ে ফুটে উঠবে’।
জগন্নাথ মন্দিরের কারণে দীঘায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে নিশ্চিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘সমুদ্রসৈকত দিঘার পরিচয়, তার সঙ্গে দিঘা তথা বাংলার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হল। দিঘার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধনে আরও প্রাণবন্ত ও আকৃষ্ট হবেন পর্যটকেরা’।
জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের আগেই দীঘা থেকে সম্প্রীতির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘাতে যে মন্দির তৈরি হয়েছে জগন্নাথ দেবের সেই মন্দিরে যে যেকোনও ধর্মের মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানানো হয়।