দেশে ফিরলেন রিষড়ার BSF জওয়ান পূর্ণম।

ডেস্ক: ভারতের চাপে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল পাকিস্তান। টানা ২৩ দিনের মাথায় দেশে ফিরলেন বাংলার জওয়ান। পাকিস্তানকে দুরমুশ করার পর ও বায়ুসেনা পাইলট অভিনন্দ বর্তমানের পর পূর্ণমকে ছাড়িয়ে আনা ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে পঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্ত থেকে পূর্ণমকে আটক করে পাক রেঞ্জার্সরা। জানা যাচ্ছে বুধবার আটারি সীমান্তে পূর্ণমকে ভারতের হাতে অর্পণ করে পাক রেঞ্জাররা। গত সোমবার ভারত-পাকিস্তানের ডিজিএমও পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানে পূর্ণমের বিষয়টি তোলা হয়েছিল। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় ওই জওয়ান কোনও নিয়ম ভঙ্গ করেননি। তাই তাকে ফেরত দেওয়া হোক। ভারতের সেই দাবি মেনে নিল পাকিস্তান।
পূর্ণমের মুক্তিতে স্বস্তি ফিরল পূর্ণমের রিষড়ার বাড়িতে। ভারত পাক সংঘর্ষের পরিপ্রক্ষিতে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ফলে স্বামীকে ফেরত পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউ। মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে আশ্বাস দেন রজনীকে। জি ২৪ ঘণ্টাকে রজনী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। বললেন ডিআইি লেভেলে দুদেশের মধ্যে বৈঠক আছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পূর্ণম দেশে ফিরে আসবে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন অর্থাত্ ২৩ এপ্রিল পঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে সীমানা পার করার জন্য পাক রেঞ্জার্সরা পুর্ণম কুমার সাউকে আটক করে। তার পর থেকে দুদেশের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়। ভারত পাকিস্তানের ৯ জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত করে ভারত। ফলে পরিস্থিত আরও খারাপ হয়ে যায়। পুর্ণমের ফেরার বিষয়টি জটিল হয়ে ওঠে। কিন্তু আজ পাকিস্তানের ওয়াঘা বর্ডারে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হল।
অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা কর্ণেল রাজেন্দ্র ভাদুড়ি বলেন, যখন প্রথম খবরটা এল যে পূর্ণমকে ধরে নিয়েছে পাকিস্তান তখন বলেছিলাম পাকিস্তান ওকে অপহরণ করেছে। পাশাপাশি জয়সলমের সীমান্তে এক পাক রেঞ্জারসকে আমরা আটক করি। তখনই বলেছিলাম এখন উত্তেজিত হওয়ার কারণ সেই। উত্তেজনা থামলে পূর্ণমকে অফিসিয়ালি ফেরত আনা হবে। সেভাবেই সে ফেরত এসেছে।