
ডেস্ক: ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিল আমদাবাদে। দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর জানা গিয়েছে, মোট ২৬৫ জনের মৃতদেহ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মানে মৃত ২৪ জন হস্টেলের ছিল।
বৃহস্পতিবার আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে প্লেন ওঠার কিছু সময়ের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এই বিমান। দুপুর ১.১৭ মিনিটে বিমানটি টেক অফ করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে। বিমানে যাত্রী ছিলেন ২৪২ জন। লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এই ফ্লাইটটি। মোট ২৪২ জন নিয়ে উড়েছিল সেটি। এতে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ৭ জন পোর্তুগিজ, একজন কানাডাবাসী। তার মধ্যে মাত্র একজন যাত্রীই ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছেন।
টেক অফ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে ধাক্কা মারে বিমানটি। এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ডাক্তারদের সেই হস্টেলে ধাক্কা মারার জেরেই মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু আবাসিক চিকিত্সকের। দুর্ঘটনার সময় সেই হস্টেলে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০ জন। আরও জানা যায়, যে সময় বিমানটি হোস্টেলে ধাক্কা মারে, সেই সময় মধ্যাহ্নভোজে ব্যস্ত ছিলেন ডাক্তাররা। আচমকাই বিল্ডিংয়ে ঢুকে আসে বিমান।
শুক্রবার সকালেই আমদাবাদের দুর্ঘটনাস্থলে প্রধানমন্ত্রী। সিভিল হাসপাতালেও মোদী যাবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদী ১২ বছর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘এই ঘটনা ভাষার বাইরে খুবই হৃদয়বিদারক। এই দুঃখের সময়ে, আমি ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষের পাশে রয়েছি। মন্ত্রী ও প্রশাসনের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখছি, যারা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য কাজ করছেন।’