ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনই তালিবানরা কাবুল দখল নেয়। এবং সেদিন রাতেই আফগানিস্তানের পাড়ি দিয়েছিলেন দুটি ভারতীয় বায়ুসেনার সি-17 বিমান। তাদের সঙ্গে যায় ইন্দো-টেবিটিয়ান বাহিনীর জওয়ানরা ও। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে সেই দিন রাতে শুরু করা যায়নি ভারতীয়দের উদ্ধার কার্য। সাথেই ভারতীয় বিমানে কড়া নজরদারি রেখেছিল তালিবানরা। পরের দিন রাতের মধ্যেই সুযোগ বুঝে উদ্ধার করা হয় 45 জন ভারতীয়কে। তারপরে সি-17 গ্লোবমাস্টার বিমানে ফেরত আনা হয় 99 জন জওয়ান ও 21 জন ভারতীয়কে।
গতকাল রাতেই সূত্রে জানা যায়, বায়ুসেনার সি-130 জে বিমান পাঠানো হয়েছে আটকে থাকা বাকি ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য। এবং এ দিন ধরেই কাবুল বিমানবন্দর থেকে 85 জন ভারতীয়দের নিয়ে তা ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সূত্র অনুযায়ী, বিমানটি জ্বালানি ভরার জন্য তাজিকিস্তানে অবতরণ করেছে। এবং সেখান থেকেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। তবে এখন সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জের বিষয় হল তালিবানদের তৈরি চেকপোস্ট পার করা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল রাতেই বায়ুসেনার সি-17 বিমান কাবুলে পৌঁছেছে। এবং সে বিমানে কমপক্ষে 200 থেকে 250 জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমি এখনো প্রায় এক হাজারের মতো ভারতীয়রা আফগানিস্থানে আটকে রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে উদ্ধারকার্য ক্রমাগত বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া অনেকে দূতাবাসে নিজেদের নাম নথিভুক্ত না করায় তাদের খুঁজে বের করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
ভারতের প্রথম থেকে জানানো হয়েছে আটকে পড়া ভারতীয় দেশে ফেরাতে আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করছে নয়া দিল্লি। কাবুল বিমানবন্দরে ও তার আশেপাশে এলাকার প্রতিমুহূর্তে আপডেট নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন বাহিনীর সবুজ সঙ্কেত মিললেই বিমান ওঠানামা করবে।
আটকে থাকা প্রায় কয়েক হাজার ভারতীয়দের মধ্যে প্রায় 200 জন শিখ ও হিন্দুরা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। বর্তমানে কাবুলের গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। বুধবার রাতে তালেবানের মুখপাত্র একটি ভিডিও বার্তায় জানান, গুরুদ্বারে আশ্রয় নেওয়া ওই ভারতীয়দের সুরক্ষার দায়িত্ব নেবেন তালিবানরা। এর পর আতঙ্ক ছড়ায় দ্বিগুণ ভাবে, কারণ কয়েকদিন ধরেই তালিবানের ‘মুখে এক কাজে আরেক’ নীতি গোটা বিশ্বের সামনে এসেছে।