“অন্তত কিছু সময়ের জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ভরণপোষণের দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে কেন্দ্রকে”: সুপ্রিম কোর্ট

ডেস্ক: গত বছর বিশ্বজুড়ে কোরোনার মোকাবিলা করার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে প্রতিটি দেশের শাসকদল নিজেদের দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছিল। বর্তমানে ফের আংশিক লকডাউন চালু হয় রাজ্য জুড়ে। এই পদ্ধতিতে কোরোনার সংক্রমণ কমবে কিন্তু বৃদ্ধি পাবে অন্য আরেক সমস্যা।
গত বছর লকডাউনের সময় একটা মর্মান্তিক দৃশ্য চোখে পড়ে। যেখানে লকডাউন ঘোষণার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের হৃদয় বিদারক ছবি উঠে এসেছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। দিনের পর দিন রোদ-জল মাথায় করে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরা, কারও আবার পথেই মৃত্যু। এমন সব ঘটনা নাড়া দিয়েছিল গোটা দেশকে।
সেই সময় এইরম কঠিন পরিস্থিতি দেখেও চোখ বন্ধ করে নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। পিছু হটেছিল নিজের দায়িত্ব থেকে। সেই কারণে এ বছর এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে আদেশ দেয় তাদের সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। আজ সেই এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চে। আজই ওই শ্রমিকদের সস্তায় খাদ্য ও পরিবহন পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
দুই বিচারপতির তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলা হয়, ‘কাজ নেই, টাকা নেই, কীভাবে বাঁচবে ওই শ্রমিকেরা? অন্তত কিছু সময়ের জন্য ভরণপোষণের দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে কেন্দ্রকে।’
এবারও একাধিক রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর তার জেরে ফের সমস্যার মুখোমুখি শ্রমিকরা। তাদের সমস্যার কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন হর্ষ মন্দার, অঞ্জলি ভরদ্বাজ ও জগদীপ চক্কর। আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এ দিন আদালতে পরিযায়ী শ্রমিদের আত্মনির্ভর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানান। তাঁর দাবি, যে সব জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকরা থাকছেন সেখানে তাঁদের রান্না করা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, রেশন কার্ড না থাকলেও রেশন দিতে হবে ও প্রয়োজনে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা দিতে হবে।
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, দেশে মোট ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন যাঁদের মধ্যে অনেকেরই রেশন কার্ড নেই।