নিজাম প্যালেসে ইট-পাথর ছুঁড়ে বিক্ষোভ জানায় জনগণ, লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি গোটা রাজ্যে
ডেস্ক: বাংলায় বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি। রাজ্যে জারি হওয়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে অধিকাংশ জেলা জুড়ে দেখা গেছে বিক্ষোভ। সোমবার সকালে ৪ জন তৃণমূল নেতাদের অবৈধভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূল সমর্থকেরা হামলা করে নিজাম প্যালেস।
প্যালেসে ইট-পাথর ছুড়ে বিক্ষোভ চালায় সমর্থকেরা। ব্যারিকেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল পুলিশ কর্মীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে সিবিআই হেডকোয়ার্টারে নিজের গ্রেফতারের দাবি তে গিয়ে পৌঁছান। রাজ্যসভার মন্ত্রীদের অবৈধভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেন তিনি।
মমতা ব্যানার্জী প্রশ্ন তোলেন, “নারদা স্টিং অপারেশনে অভিযুক্ত মুকুল রায় আর শুভেন্দু অধিকারী কে কেন গ্রেফতার করলো না সিবিআই? লকডাউনের এমন সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে যেখানে কোরোনার সাথে লড়ায়ে কেন্দ্র সরকার কোনো রকম সুবিধা দেওয়া থেকে বিরত, সেখানে দাঁড়িয়ে বেআইনি ভাবে ৫ বছর পুরোনো ঘটনাকে খুঁচিয়ে বাংলার মানুষকে উত্তেজিত করে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।”
সিবিআই এর বক্তব্য অনুসারে, চার্জশিট দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করে তুলে আনা হয়েছে তাদের। কিন্তু আইনজীবীরা, সিবিআইয়ের কার্যপদ্ধতিটি বেআইনি বলে জানিয়েছেন। তাদের মতে, চার্জশিট দেওয়ার জন্য এভাবে গ্রেফতার করে আনা অবৈধ। সিবিআই যদি চার্জশিট দিতেই চাইতো তাহলে সেটি কোর্টে জমা দিতে পারতো। কোর্ট থেকে অভিযুক্তদের নোটিশ বা সমন পাঠানো হতো। নোটিশ পাওয়ার পর অভিযুক্তরা কোর্টেই হাজিরা দিতো। তারপর সেখানে কি ধরণের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেটা কোর্ট বুঝে নিতো। নিয়মানুসারে, কোনো বিধায়ক কে গ্রেফতার করার পূর্বে বিধান সভার অধ্যক্ষের থেকে অনুমতি নেওয়া উচিত। কিন্তু সেটা নেওয়া হয়নি।
এছাড়াও জানা যায় নারদা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু আধিকারিকে গ্রেফতার করার জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা অনুমতি দেননি।
তাহলে প্রশ্ন উঠতেই, পারে প্রাক্তন তৃণমূল ও বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুকে গ্রেফতারের জন্য যদি লোকসভায় অনুমতি নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে, মদন মিত্রের গ্রেফতারের জন্য বিধানসভা থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি কেন?
অন্যদিকে স্ট্রিং অপরাশনের সময় তৃণমূলের প্রাক্তন ও বিজেপির বর্তমান বিধায়ক মুকুল রায়কে টাকা নিতে দেখা যায়নি। ফলে তাকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। কিন্তু ২০১৬ র নারদা কাণ্ডের পর মুকুল রায় কে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার সময় তিনি পরিষ্কার বলে দেন টাকা তিনি ছুঁয়েও দেখেননি।
ভিডিও অনুযায়ী মুকুল বলেছিলেন আইপিএস মির্জা কে টাকা দিতে। পরবর্তীকালে মির্জাকে জেরা করলে সে বলে মুকুলই তাকে বলে ছিল টাকা টি নিতে।
তৃণমূল নেতাদের মতে বিজেপির এটা ষড়যন্ত্র তৃণমূলকে লেংড়ে ফেলার। কোভিড পরিস্থিতিতে কোনো রকম ব্যবস্থাপনা না নিয়ে। নাড়িয়ে রেখেছে গোটা সিস্টেম কে।