কোরোনায় আক্রান্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার কারণে সামাজিক বয়কট এর শিকার হয় যুবকেরা
ডেস্ক: কোরোনায় আক্রান্ত হলে সেই রোগী ও তার পরিবারকে রোগের সাথে সামাজিক শত্রুতার লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়। দোষ একটাই ব্যক্তিটি কোভিড পজিটিভ।
এই না করা ভুলের শাস্তি পেতে হয়েছে বহু মানুষকে। বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছে সমাজ থেকে অথবা গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে তাদের। প্রতিবেশীরা ঘৃণা ও ধিৎকারের চোখে দেখেছে তাদের প্রতিনিয়ত।সাহায্যের হাত বাড়ায়নি কেউ।
কিন্তু যারা সমাজের এই ঘৃণ্য মানসিকতার বিরোধিতা করে এগিয়ে আসছে রোগীদের পরিষেবা দিতে তাদেরও শিকার হতে হয়েছে সামাজিক বিদ্বেষের।
আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা বিমল চক্রবর্তী, উজ্জ্বল সরকার, গুড্ডু সিং, যাদব অধিকারী, বাপ্পা সরকার ও সুনীল দাস সর্বদা এগিয়ে থাকেন সংক্রমিত মানুষদের সাহায্যের জন্য। এলাকায় কারণ করোনা হলে রোগীকে সাহায্য করতে দিনরাত এক করে ছুটে যান তারা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, ওষুধ নিয়ে আসা, অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া কোনো কিছুরই ত্রুটি রাখেন না এই যুবকেরা। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত পরিবারের সাহায্য করে নিজেরাই সামাজিক বয়কট এর শিকার হলেন।
আলিপুরদুয়ারের 1 নম্বর ব্লকের বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত এর বাসিন্দা দীপক গাঙ্গুলী কোরোনায় আক্রান্ত হন। তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিল এলাকার এই যুবকেরা। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ব্যক্তিটির। কোরোনায় আক্রান্ত পরিবারকে সাহায্য করায় সামাজিক বয়কট এর শিকার হন যুবকেরা। তাদের নিজেদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি এমনকি খাবারও পাননি তারা। স্থানীয়রা তাদের পাড়ায় ঢোকার নিষেধ করে দিয়েছিল।
বাড়িতে ঢুকতে না পেরে আলিপুরদুয়ারের পল্লীমঙ্গল ক্লাব এ আশ্রয় পেয়েছিল ওরা কিন্তু সেই দিন খালি পেটে রাত কাটাতে হয় তাদের। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল এর কানে এসে পৌঁছায় এই খবর। অবশেষে তিনি এসে যুবকদের মুখে খাবার তুলে দেন। সেই সঙ্গে কোরোনা নিয়ে মানুষের
মধ্যে সচেতন মূলক প্রচার করেন।
বিধায়কের হস্তক্ষেপ বাড়ি ফিরতে পারে যুবকেরা।