স্যার, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি এরকম ষড়যন্ত্র না করার জন্য: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী র বাংলায় বৈঠক শেষের একটি ছবি ইন্টারনেটে বেশ ভাইরাল হয়ে ওঠে।
যেখানে ছবিটিতেদেখা যাচ্ছে রাজ্যপাল, বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এক পাশে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আরেক পাশের চেয়ারগুলি ছিল খালি।
বৈঠকে মমতা ব্যানার্জীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সময় মতো উপস্থিত ছিলেন না।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথাযথ উপস্থিত না থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মানিত করার অভিযোগ ওঠে। তবে, এই বিষয়ের পরিপেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরীক্ষণের জন্য তাকে দিঘায় যেতে হয়েছিল। এ কারণেই তারা বৈঠকে পৌঁছাতে দেরি হয়।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর উপস্থিতিতে মোদীর সাথে বৈঠকে বসতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সূত্রে জানা যায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হওয়ার আধঘণ্টা পর মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছান। এবং রাজ্যে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়ে চলে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রকম ব্যবহারকে প্রধানমন্ত্রীর অপমান হিসাবে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটিকে ম্যানুপুলেটে করার চেষ্টা করা হচ্ছে
তবে 29 শে মে দুপুরে 3 টে নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এবং সেখানে তিনি কালকে ঘটা বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেন। তিনি বলেছিলেন যে পুরো ঘটনাটির মাত্র কিছুটা অংশই গণমাধ্যমকে দেখানো হয়েছে এবং আসল ঘটনাটিকে ম্যানুপুলেটে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর বাঁ পশে থাকা খালি চেয়ারগুলির ছবি মিডিয়াতে দেখানো হয়েছে। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা নিচু করে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন, তখনের সেই চিত্রটি কোথাও দেখানো হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যে আমরাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ত্রাণ তহবিলের দাবি করিনি। রাজ্যে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার মেরামতের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে শুধু একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
আরও পড়ুন: 30 মিনিট অপেক্ষা করানোর পরও প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত উল্লেখ যে কেন্দ্রীয় সরকার ওড়িশায় 500 কোটি এবং ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গকে 250 কোটি টাকার ত্রাণ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই ঘটনাটি জানার পর থেকে একের পর এক টিএমসির সংসদ সদস্য এবং নেতারা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসাবে অভিহিত করতে শুরু করেছেন।
গত 7 বছর ধরে 15 লক্ষ টাকার জন্য অপেক্ষা করছি
তাদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হয়রানি করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে। তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কটূক্তি করে বলেছিলেন যে তাঁকে কেবল 30 মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু আমরা গত 7 বছর ধরে 15 লক্ষ টাকার জন্য অপেক্ষা করছি।
উল্লেখ্য, একদিকে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে অংশ গ্রহণ না করার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে, 29 শে মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে তিনি সেখানে দীর্ঘ সময় উপস্থিত ছিলেন।