রহস্যজনক মৃত্যু দেবাশীষের, বছর ছয় আগে তাঁর হাতেই চড় খেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেস্ক: গতকাল ঘটা এক ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলা কে। দেবাশীষ আচার্য নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু। হ্যাঁ! সেই দেবাশীষ আচার্য যিনি 2015 সালে 5 ই জুলাই মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুরের এক সভায় প্রকাশ্যে চড় মেরেছিল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে।
এই অবাকীয় ঘটনা নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা পশ্চিমবঙ্গের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে এত বড়ো অপমান বিষয়টি হজম করা মুশকিল হয় পড়েছিল।
এই ঘটনার 6 বছরের মাথায় গতকাল সেই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায় জখম হালোতে।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা দেবাশীষ আচার্য বর্তমানে ছিলেন গেরুয়া শিবিরের সমর্থক। তাঁর এক বন্ধু জানিয়েছেন বুধবার এক সঙ্গে ছিলেন তারা। হঠাৎই একজনের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে চলে যান দেবাশীষ। দ্রুত বাড়ি ফিরে আসবে বললেও আসেনি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে যে যার বাড়ি চলে যান। এরপর গোটা রাত পেরিয়ে যায় তখনো বাড়ি ফিরেনি দেবাশীষ। বৃহস্পতিবার সকালে 41 নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাপাটিয়া টোল প্লাজার কিছুটা দূরে জ্ঞানহীন অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসার শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। একাধিক ক্ষতের চিহ্নও পাওয়া যায় তাঁর শরীরে।
দেবাশীষের রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ হিসেবে তাঁর পরিবার ও বিজেপি সমর্থকেরা তৃণমূলকে দায়ী করছে। আবার অন্যদিকে সেখানকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা জানায়, “অনুমান করা হচ্ছে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে? কি কারণে খুন করা হয়েছে? আদৌ খুন কিনা গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।” এবং খুন প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
যদি প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে সম্মত দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়।
তবে সন্দেহের কাঁটা তৃণমূলের দিকে ঘুরেছে। 2015 সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ছবি তোলার নাম করে মঞ্চে উঠে চড় মেরেছিলেন এই যুবক। এই আচরণের জন্য করে দেবাশীষ ও তার বাবা-মা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন।