বিজেপিতে যাওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করতে ন্যাড়া হলেন 500 জন কর্মী
ডেস্ক: রাজ্যে শুধুমাত্র কোরোনার নয়, দল বদলের ও দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। প্রথমটা শুরু হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগের মুহূর্তে এবং দ্বিতীয় টা বর্তমানে, যখন তৃণমূল আরও একবার ক্ষমতার আসনে এবং বড় সড় হারের পর রাজ্য সরকারকে হেনস্থা করার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র বিজেপি।
ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ যুক্ত হয়েছিল গেরুয়া শিবিরে। ঠিক তেমনি ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর থেকে আবার সকলে ফিরে আসছে পুরনো দলে। এমনকি মুকুল বাবু ও পারলেন না তৃণমূল কে ছেড়ে থাকতে। চার বছর পর ফিরলেন পুরনো দলে।
কর্মী সমর্থক দের নিয়ে তৃণমূল থেকে পদ্মফুলে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে আবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তৃণমূলে ফেরার জন্য। যেখানে এখনও সোনালী গুহ ও রাজিব ব্যানার্জি শুধুমাত্র অপেক্ষা করছেন দিদি ফিরে নেওয়ার ডাকের জন্য।
বেশ কিছুদিন আগে খবর পাওয়া গেছিল 300 জন বিজেপি কর্মী হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের ঝাণ্ডা। এবারে আরও একধাপ এগিয়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ মাথা মুন্ডন করে তৃণমূলে ফিরে এলো 500 জন কর্মী।
আরামবাগের 500 জন কর্মী যুক্ত ছিল তৃণমূলে কিন্তু একুশের ভোটের আগে তারা একে একে বিজেপিতে আসতে শুরু করে। এবং এটাকেই তারা নিজেদের বড় ভুল বলে মনে করে। তাই সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত অনুসারে ন্যাড়া হয়ে ফিরে এলো পুরনো দলে। তাদের কথায়, তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের কথার ভোটের আগে তাদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিজেপিতে। এখন ভুল বুঝতে পেরেছে তারা।
খুব স্বাভাবিকভাবেই বড়সড় ধাক্কা বঙ্গ বিজেপির বুকে। এসব ঘটনা থেকে ধারণা করা যায় দল বদলের দ্বিতীয় ঢেউ বেশ জোরদার হয়েছে বঙ্গে। পুরনো দলে ফেরার লাইনে এখন বহু মানুষ।