ট্রেন চলাচল বন্ধ নিয়ে বিক্ষোভ জানায় বহু মানুষ, কবে থেকে চলবে লোকাল ট্রেন?

ডেস্ক: রাজ্যে জারি থাকা বিধিনিষেধের কারণে দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলার অনুমতি দেয়া হলেও যাতায়াত পরিষেবা এখনো পর্যন্ত চালু করেনি রাজ্য সরকার।

যেখানে বহু মানুষের বক্তব্য অফিস যখন খোলা তাহলে কেন খোলা হচ্ছে না যাতায়াত ব্যবস্থা? অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে সকলে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে চালু হয়েছে স্পেশাল ট্রেন এবং স্পেশাল মেট্রো ট্রেন। যাতে কোনো লোকাল প্যাসেঞ্জার উঠতে পারবে না। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মী দমকলকর্মী ও সাংবাদিকদেরই পরিষেবা গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বহুদিন ধরে বন্ধ থাকা ট্রেনের কারণে এবারে বিক্ষোভ দেখা দিল মানুষের মধ্যে। শিয়ালদা দক্ষিণে ব্যাপক মাত্রায় মানুষ জড়ো হয়ে রেল অবরোধ করে। স্পেশাল ট্রেনে উঠতে না দেওয়ায় যাত্রীরা বিক্ষোভ করে। শিয়ালদা ছাড়াও একাধিক রেলস্টেশনে এমনই অবস্থা দেখা যায়। সোনারপুর ও বারইপুর স্টেশনেও একই চিত্র দেখা যায়।

এমনকি মল্লিকপুর এই পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট ও। সাথে চলে গাড়ি ভাংচুর। একাধিক রেলওয়ে স্টেশন রণক্ষেত্রের চেহারা নয়।

ঘটনাটির সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ। যখন শিয়ালদা ডায়মনহারবার লোকাল সোনারপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায় নিত্যযাত্রীরা ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু ট্রেনে উঠতে বাধার শিকার হয় তারা। তাই ট্রেনের সামনে বসে সকলে। তাদেরই মধ্যে এক যাত্রী বলেন, “দিদির কাছে অনুরোধ ট্রেন চালালে সব চলুক, না হলে কোনও ট্রেনই চলবে না। কিছু লোক যেতে পারছেন, কিছু পারছেন না। এইভাবে পেটে কত দিন ভাত জোগাতে পারব!”

এইসব ঘটনার পর এখনো রেলের কাছে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই যে কবে থেকে আবার শুরু হবে রেল চলাচল। কারণ এইসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। রেলের পক্ষ থেকে এর আগেও রাজ্য সরকারের চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, লোকাল ট্রেন চালাতে প্রস্তুত পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মহামারির পরিস্থিতিতে কথা চিন্তা করে লোকাল ট্রেন চালু করার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। বরং স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে ট্রেন চালানো যায় আমরা সরকারকে চিঠি লিখেছিলাম ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে। রাজ্য সরকারে অনুমতি দেয়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়েছে। কারণ এর সঙ্গে মানুষের রুজি-রুটির প্রশ্ন জড়িত। আমরা ট্রেন চালাতে প্রস্তুত। স্যানিটাইজেশন রেগুলার হচ্ছে। রাজ্য সরকার যখনি বলবে আমরা ট্রেন চালাব। স্টাফ স্পেশালে তারাই পারছেন যাদের রাজ্য সরকার অনুমতি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *