‘রে’ সিরিজ নির্মাণে পরামর্শ নেওয়া হয়নি সন্দীপ রায়ের, জেনে নিন কি বললেন তিনি!

ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায় এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাঁর পথ প্রদর্শন করে এগিয়ে চলছেন বর্তমানের পরিচালকরা। শতাব্দীর সেরা ফিল্মমেকার যিনি এক ঝলকেই পাল্টে দিয়েছেন সিনেমার চিত্রপট।

একাধারেই তিনি পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, লেখক, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, ডকুমেন্টরি ফিল্ম মেকার, পত্রিকা সম্পাদক, গীতিকার, ক্যালিগ্রাফার ও সুরকার। এবং বাঙালির ইমোশান ফেলুদার স্রষ্ঠাতা। সমস্ত চরিত্রেই তার বরাবর করতে পারবেন এমন মানুষ হয় তো খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। 1992 সালে তিনি তাঁর লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্টের জন্য সন্মানীয় অস্কার পুরস্কার লাভ করেন।

এই কিংবদন্তির কর্মকাণ্ড প্রতিটি আলোচনার এক বিশেষ বিষয়। বাংলা চলচ্চিত্র ও সাহিত্যে তাঁর অবদান অতুলনীয়। সত্যজিৎ রায়ের ই লেখা ছোটগল্প অনুপ্রেরণায় Netflix এ গতকাল রিলিজ হলো এক মিনি সিরিজ। এবং সিরিজের নামও নির্ধারিত হয় সত্যজিৎ রায়ের পদবী অনুসারী। ‘রে’।

গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার 25 শে জুন থেকে স্ট্রিমিং হলো অ্যান্থলজি সিরিজ‘রে’। এই সিরিজে মোট চারটি ছোটগল্প রয়েছে। এবং এই গল্প গুলির পরিচালনায় রয়েছেন সৃজিত মুখার্জী, ভাসান বালা এবং অভিষেক চৌবে। কিন্তু বেশ অম্বড় শুরু হলেও শেষের মুখে সে রকম প্রভাব ফেলতে পারেনি সিরিজটি। হতাশ হয়েছেন সত্যজিৎ প্রেমী থেকে শুরু করে সমালোচকরা।

আবার অন্যদিকে যখন এক সংবাদমাধ্যম সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায় কে সিরিজ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কতটা জড়িত ছিলেন এই প্রজেক্টে? তখন সন্দীপ বাবুর উত্তর অবাক করে সকল কে। তিনি বলেন, “এই প্রজেক্টের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা শূন্য। মানে, তারা (নেটফ্লিক্স) আমার বাবার লেখা গল্পটি ব্যবহার করতে আমার অনুমতি চেয়েছিলেন, যা আমি বিনা দ্বিধায় দিই। তবে তারপরে আমার থেকে কোনও পরামর্শ নেয়া হয়নি। গল্পের স্ক্রিপ্ট-আমার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়নি। এবং না আমাকে ফাইনাল’ ছবিটিও দেখানো হয়েছে।”

এছাড়া সন্দীপ বাবু বলেন, “আমার প্রোমো একেবারে ভালো লাগেনি। আর এখন আমি ভয় পাচ্ছি এটা দেখতে। আবার অন্যদিকে আমার বাবার গল্প নিয়ে কি হয়েছে তা জানতেও আমি আগ্রহী।”

এবং সত্যজিৎ রায়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে তিনি একটি বড় পরিকল্পনা ও করেছেন। যেখানে তিনি বলেন কোভিড মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন এবং তারপরেই কাজ শুরু করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *