রাজ্যপাল কে ‘পাগলা হাতি’ বলে কটাক্ষ মদন মিত্রের, জেনে নিন কি বললেন তিনি?

ডেস্ক: বাংলার রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের কড়া সংঘাতের দৃশ্য বরাবরই নজর পরেছে। রাজ্য সরকারের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে মত বিরোধিতা করা রাজ্যপালের অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে গেছে। তার সাথে টুইটার হ্যান্ডেলের প্রতিটি টুইটে রাজ্য সরকারের অক্ষমতা ও দায়িত্বহীনতা র গান শোনানো তো আছেই। রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় এর কোনো মন্তব্যে বা ব্যবহারে নিরপেক্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায় না।

আজ তাকেই পড়তে হলো কটাক্ষের মুখে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়কে। সোমবার রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর তুমুল সংঘাতের পর থেকে শাসক দলের একের পর এক নেতারা আক্রমণ করছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়কে। তাদেরই মধ্যে শামিল হলেন মদন মিত্র ও। এমনকি তিনি রাজ্যপালকে পাগলা হাতির সঙ্গে তুলনা করলেন।

মদন মিত্রের কথায়, “রাজভবনের গরিমা উনি নষ্ট করছেন। উনি নিজের কাজ না করে ‘পরকীয়ার’ দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন। রাজ্যপাল হিসেবে যা কর্তব্য পালন করা উচিত তিনি তারা করে সরকারের বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে অযথা হস্তক্ষেপ করছেন। এই রাজ্যপাল নিজের সীমারেখার বাইরে গিয়ে যেসব মন্তব্য করছেন তা সংবিধান বিরোধী। আমি মনে করি তার সাত দিনের মধ্যে রাজ্য থেকে চলে যাওয়া উচিত এবং উনি যাবেন।” একইসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, “যে সমস্ত অভিযোগ উনি সামনে আনছেন তা ভিত্তিহীন। আমরা বা অন্য কোনো বিধানসভা এলাকায় যদি বিরোধীদের আক্রমণ এর একটিও নজিরের প্রমাণ দেখাতে পারেন। তাহলে উনি যা শাস্তি দেবেন তা মেনে নেব। রাজ্যপাল কে চ্যালেঞ্জ মদনের।”

“আমি বলব ওনার নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত জঙ্গলমহল থেকে অনেক হাতে চলে আসছে। তাই শহরে হাতে ঢুকে পড়লে বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন তিনি। সেই কারণেই তার নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি। রাজ্যপাল যতই রাষ্ট্রপতি শাসন সহ বাংলায় হিংসার বিষয়ে সোচ্চার হোন না কেন বাংলার মতো শান্তির জায়গা অন্য কোন রাজ্যে নেই। বিধানসভা নির্বাচনে তার জবাব বাংলার মানুষ দিয়ে দিয়েছে।”

রাজ্যপালকে মদন মিত্র এ কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চান যে, ভোটের আগের অনেক ক্ষমতা দেখিয়েছে কেন্দ্র ও বিজেপি। কিন্তু বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই আস্থা রেখেছেন। উনার প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি এর আগে অনেক রাজ্যপাল বাংলায় ছিলেন। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপালের মতো নিজের যে কাজ তা না করে শুধু অন্যান্য বিষয়ের ওপরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, এমন দেখিনি। বাংলার মানুষ রাজ্যপাল হিসেবে ওর ভূমিকা কে ভালো চোখে দেখছে না। রাজ্য সরকার কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে উনি অপদস্ত করা যতই চেষ্টা করুন না কেন ওনার সেই চেষ্টা বিফল হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *