নিঃসন্তান হওয়ার পরেও কেন কোনো আক্ষেপ নেই দিলীপ কুমার ও শায়রা বানুর?
ডেস্ক: শোকের ছায়া নামিয়ে অনুগামী এবং পরিবারের সকলকে পেছনে ফেলে পরলোকে গমন করলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সঙ্গী ছিলেন তাঁর অর্ধাঙ্গিনী শায়রা বানু।
স্বামীর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েন তিনি। দিলীপ বাবু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন এমনটাই আশা করেছিলেন
শায়রা বানু। কিন্তু তা আর সম্ভব হলো না।
দিলীপ কুমার ও শায়রা বানু জুটি বেঁধে 60 ও 70 এর দশকে বহু কাজ করেছেন। তাদের রিল লাইফের কেমিস্ট্রি রিয়েল লাইফেও ফুটে উঠেছিল। তাদের তাদের নজরকাড়া প্রেম কাহিনীর সাক্ষী হয়েছিলেন সেই দশকের দর্শকরা। এই প্রেম পরিণতি পায় 1966 সালে।
কিন্তু নিঃসন্তান এই দম্পতি। কেন তারা নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবেনি তা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্নও করা হয়েছিল তাদের। 2012 সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা দিলীপ কুমার জানিয়েছিলেন, “আমাদের সন্তান থাকলে ভালো হতো নিশ্চয়ই। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের কোনো আক্ষেপ নেই। আমি বা শায়রা এই অসম্পূর্ণতা নিয়ে কখনো অভিযোগ করিনি। আমাদের পরিবার রয়েছে। ভালো-মন্দ সবই তাদের সাথে ভাগ করে নিতে পারি। আমার ভাইপো ভাইজী নিয়ে বিরাট পরিবার। শায়রার পরিবার ছোটো। ওর ভাই সুলতান, তার সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা রয়েছে। আমাদের যখনই প্রয়োজন, ওরা পাশে থাকে, এটাই তো বড় পাওনা।”
“আপনাদের অভিনয় ঐতিহ্য কাদের হাতে দিয়ে যাবেন?” এ প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ কুমার হেসে বলেন, “যখন একজন নতুন অভিনেতা আমার কাছে এসে বলে স্যার আমি আপনাকে অনুসরণ করতে চাই। আপনি যে পথে এগিয়েছিলেন, সে পথে যেতে চাই। তখনই তো আমার ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিনেতাকে দেখতে পাই। এইজন্য আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।”
দিলীপ কুমার এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি ছয় দশক ধরে বলিউডে নিজের আধিপত্য কায়েম রেখে একের পর এক ঐতিহ্যবাহী সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। দেবদাস, মুঘল-ই-আজম, গঙ্গা যমুনা ও ক্রান্তি র মতো সিনেমাগুলি চিরকাল মনে রাখবে সিনেমা প্রেমিকরা।