“বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল” বিজেপির অন্দরে তৈরি হওয়া তিক্ততা নিয়ে মুখ খুললেন তাদেরই এক নেতা
ডেস্ক: একুশের নির্বাচন ফলাফল বেরোনোর পর থেকে বিজেপির সিংহভাগ লোক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। একুশে জুলাই এর আগেই এক বড়সড় ভাঙ্গন বিজেপিতে। বেশ কিছুদিন আগে বসিরহাটের একাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক রা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এবারেও সেখানে প্রায় হাজার জন নেতাকর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করেন।
সোমবার বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশের তৃণমূল রক্তদান শিবির আয়োজন করেছিল। এবং সেখানেই বসিরহাটের বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, যুব সভাপতি, সহ সভাপতি সহ একাধিক নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগদান করেন। সেখানে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক ডঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শাহানুর মন্ডল, তৃণমূল নেতা ওহিদুল সাহাজি, কওসার মন্ডল এবং গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা মন্ডল সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।
এদিন বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার, যুব সভাপতি শংকর হালদার, পূর্ব মন্ডলের যুব সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও পূর্ব মণ্ডলের বিজেপি সহ-সভাপতি রাজু মন্ডল তৃণমূলে যোগদান করেন। মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার তৃণমূলে যোগদান করার পর বলেন, “আমাদের এই দলে যোগদান করার জন্য কেউ ভয় দেখাননি। যেভাবে বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েছে সেখান থেকে মানুষের জন্য কাজ করা যাচ্ছে না। এই দলে পুরনোদের কোনো সম্মান নেই, তৃণমূল থেকে যারা যাচ্ছেন তারাই নেতৃত্ব পাচ্ছেন। বিজেপিতে কয়েক বছর থেকে বুঝতে পেরেছি এটি একটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল।”
বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, আর সেখানেই ধরলো ভাঙন। এছাড়াও জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি তেও বিজেপি ছেড়ে শতাধিক কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
আগামী 21 শে জুলাই এই প্রথম রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে সারাদেশে বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের উদ্যোগে দেখানো হবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা। সারাদেশে শহীদ তর্পণের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে শহীদদের।