90 কেজি কাঁচা ধাতু সাথে তিন চোরাচালানকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ
ডেস্ক. ৮২ ব্যাটেলিয়ন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সীমান্ত চৌকি মধুপুর এর সতর্ক জওয়ানরা নদিয়া জেলার সীমান্ত অঞ্চল থেকে তিনজন ভারতীয় পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ৯০ কেজি কাঁচা ধাতব জব্দ করতে সফল হয়েছে ভারতীয় বাজারে যার দাম ১,৩৫,০০০/- টাকা ।।
২০২১সালের ১১ মার্চ, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা সীমান্ত চৌকি মধুপুর অঞ্চলে নিষিদ্ধ পণ্য পাচারের তথ্য পেয়েছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত চৌকি মধুপুর কর্তৃক ওই এলাকায় একটি বিশেষ টহল দল তৈরি করা হয়েছিল। বেলা ১১ টার দিকে টহলদলের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী একজন বোলেরো (নম্বর – ডাব্লুবি ২০ এইচ ৬৬৬২) মহাকোল গ্রামে যাওয়ার সময় দার করানো হয় এবং তল্লাশির সময় তিনজন ভারতীয় ব্যক্তিকে ৯০ কেজি কাঁচি ধাতু সহ গ্রেপ্তার করা হয় । গ্রেপ্তারকৃতদের ও আটককৃত পণ্য সহ আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকি রাঙ্গিয়াপোটায় (কোম্পানির সদর দফতরে) নিয়ে যাওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাহারা নিজেদের চিহ্নিত করেছিলেন
a) আতিকুর রহমান মন্ডল, পিতা – আলুদিন মণ্ডল, বয়স ৩১ বছর
b) সাইফুল বিশ্বাস, পিতা – দিবাংগত কলিম বিশ্বাস, বয়স ৪২ বছর
c) খারিজুল ইসলামের পিতা – ইস্রাফিল মন্ডল, বয়স 33 বছর
তারা সবাই হাটকোলা, পোস্ট -মহাকোলো, জেলা নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ ।
আরও জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুর রহমান বলেছিল যে আজ অতিরিক্ত মদ্যপানের পরে তিনি তার সহকর্মীর লাকিম মন্ডলের ( বাংলাদেশ )সাথে যোগাযোগ করেছিল এবং কাঁচা ধাতুটি নিয়ে এসেছিল যা হাটখোলার বাসিন্দা রহিদুল নামে একজন ব্যাক্তি কে দেওয়া হত ১০,০০০ টাকায় । তিনি সীমান্তের রাস্তা ধরে কোনও অসুস্থ ব্যক্তিকে বহন করার অজুহাতে বুলারো নিয়ে আসে।
সাইফুল বিশ্বাস জানায় , সে সীমান্ত পেরিয়ে সব ধরণের অপরাধে জড়িত এবং তার আর্থিক প্রয়োজন অনুযায়ী সে অন্যদিকে ও জিনিসপত্র পৌঁছায় এবং লাইনম্যানের কাজও করে এবং সে আতিকুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আত্মীয়।
রিজুল ইসলাম জানিয়েছিল যে সে হাটখোলা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক এবং আজ অবধি সে কোনও ধরণের অপরাধ করে নি। আজকে তার ভাইপো আতিকুরের সাথে ছাপরা যাচ্ছিল এবং এই সমস্ত সম্পর্কে তার কোনও তথ্য জানকারীতে ছিল না ।
আটককৃত জিনিসপত্র সহ গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের আরও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা ভিমপুরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্ন ধরণের পণ্য পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সীমা সুরক্ষা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যার কারণে চোরাচালানকারীরা সীমান্ত অঞ্চলে এই ধরণের তৎপরতা চালাতে প্রচুর অসুবিধায় পড়ছে। তাদের অনেককে অপরাধ করার জন্য ধরা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।