চেকবুক, এটিএম কার্ড গ্রাহকের কাছে তার সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হলো লক্ষ লক্ষ টাকা
ডেস্ক: বর্তমান সময় প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে ততই সমস্যার মুখে পড়ছে মানুষ। প্রায়শই ঠকিয়ে ব্যাঙ্কের চেকবুক, এটিএম কার্ড, OTP নিয়ে নানা রকম জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু যেখানে চেকবুক, এটিএম কার্ড গ্রাহকের কাছেই সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয় লক্ষ লক্ষ টাকা।
ঘটনাটি অশোকনগরের বেড়াবেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঈশ্বরীগাছা শাখার ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের। চেকবুক ও এটিএম কার্ড গ্রাহকের কাছে থাকার সত্ত্বেও চেক মারফত উধাও হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কারও অ্যাকাউন্ট থেকে 10 লক্ষ আবার কারোর 6-7 লক্ষ টাকা উধাও হয়ে। প্রতারণায় শিকার ব্যক্তিরা মঙ্গলবার দুপুরে টাকা ফেরতের দাবিতে হাবড়া নৈহাটি রোডে বেশ কিছুক্ষণ প্রতিবাদে করে পথ অবরোধ। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই বিক্ষোভকারীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করো।
তারা জানায়, তারা ব্যাঙ্কে টাকা রেখেছিলেন। কিন্তু আচমকাই তাদের ফোন নম্বরে টাকা ডেবিট হয়ে যাওয়ার মেসেজ আসে। এরপর তারা ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন, জানতে পারেন সত্যি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কের চেকবুক থেকে এটিএম -যাবতীয় ডকুমেন্টস্ গ্রাহকদের কাছেই থাকার সত্ত্বেও কিভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় টাকাগুলো এই নিয়েই চলছে দ্বন্দ্ব।
ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক জোনাল অফিস থেকে দুই প্রতিনিধি বুধবার ঈশ্বরীগাছা শাখায় যান। সেখানে কয়েকজন প্রতারিতের সঙ্গে কথা বলেন। ম্যানেজারের সঙ্গেও আলোচনা করেন এই দুই প্রতিনিধি। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন প্রতারিতরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রতারিতরা থানায়ও অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সেই অভিযোগে পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন না। তারা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ফলে বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট শাখার সামনে বিক্ষোভ দেখান তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এক প্রতারিত গ্রাহকের কথায়, “আমাদের সবার মিলে 50 লক্ষ টাকার উপর প্রতারণা হয়েছে। এই শাখায় মূলত গরিব মানুষই টাকা রাখেন। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর টাকা কিভাবে প্রতারণা করা হলো? আদৌ এই টাকা ফেরত পাব কিনা, কিছু বলছে না কর্তৃপক্ষ।”
তবে এই প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বর্ণালী ঘোষ বলেন, “আমার এখানে ঘটনাটা ঘটেছে। কিভাবে ঘটল, তদন্ত চলছে। ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। টাকা যাতে ফেরত পান, তার চেষ্টা করছি।”