“নিজে ব্যর্থ হলেই তার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
ডেস্ক: কোনো সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার অন্যতম উপায় হলো দোষ টা অন্য করার ঘাড়ে তুলে দাও। আর এই কাজ টা সব থাকে ভালো হয়ে থাকে রাজনীতিতে। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধীদল আর কেন্দ্রের শাসকদলের মধ্যে যে তরজা চলছে সেটা তে সকলেই প্রায় ধাতস্থ।
রাজ্যেও ঠিক একই পরিস্থিতি চলছে। গত দুই সপ্তাহ যাবৎ চলা বৃষ্টির কারণে নাস্তানাবুদ রাজ্যবাসী। তাদেরই অবস্থা খতিয়ে দেখতে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে তৈরি হওয়া বন্যাকে তিনি ম্যান মেড বলে আখ্যা দেন। ডিভিসিকে দায়ী করেন তিনি।
আর এই মন্তব্যকেই কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নিজে ব্যর্থ হলেই তার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তার কথায়, কলকাতাকে প্লাবন থেকে বাঁচাতে পারেন না, অথচ ডিভিসিকে বছর বছর কাঠগোড়ায় তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সাথে তিনি অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রের পাঠানো কোটি কোটি টাকা কোথায় গিয়েছে, তারও কোনো হিসাব নেই।
শনিবারই দিল্লি থেকে খড়গপুরে ফিরেছেন দিলীপ ঘোষ। ট্রেনে হিজলিতে নামেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ বাবু। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে নিজে না পারলে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর। ১০ বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছেন উনি। তবু কলকাতাকে জলের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি। শুধু মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন।”
তার কথায়, হাজার হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে। সেগুলির কোনও হিসাব নেই। ‘ওনার ভাইদের পেটে চলে গিয়েছে’। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রসঙ্গে বলর ‘ওনার দিদি ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী। উনি সাত বছর ধরে সাংসদ। তাও কিছু করেননি কেন? বন্যা হলেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা মনে পড়ে? মানুষ জলে ভাসবে বলেই কি ওনাকে ভোট দিয়েছিলেন? এখন বলছেন দিদি প্রধানমন্ত্রী হলে নাকি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান হবে! সাত মন তেলও পুড়বে, আর রাধাও নাচবে।” দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “কপালেশ্বরী নদীর জন্য ২২৫ কোটি টাকা মানসবাবু (ভুঁইঞ্যা) দিল্লি থেকে নিয়েছিলেন। তিনি তখন সেচমন্ত্রী ছিলেন।” সে টাকা কোথায় গেল, এদিন সে প্রশ্নও তোলেন দিলীপ ঘোষ।