আফগানিস্তানে জীবন ও মৃত্যুর মাঝে ফেঁসে রয়েছেন ভারতীয়রা
ডেস্ক: প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্কে ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা আফগানিস্তান জুড়ে। জীবন মরণের এই খেলায় চাপা পড়ছে মানব সভ্যতা। ভারত স্বাধীনতার 75 তম বর্ষে পা দিলেও সেইদিন ই তালিবানি শাসন এর কাছে পরাধীন আফগানিস্থান। মিলছে না কোনো সুরাহা।
90% আফগানিস্তান নিজের কবলে করে নিয়েছে তালিবানরা। প্রাণ বাঁচাতে বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। বিমানের ভিতরে জায়গা না পাওয়ায় বাইরে ঝুলতে থাকে তারা। প্রাণ বাঁচানোর আশায় বিমানে ঝুলতে গিয়ে পরে মৃত্যুর কবলে।
সূত্রে জানা যায়, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারে আফগানিস্তানে ছুটেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। টানটান উত্তেজনার মাঝেই উদ্ধার করে আনা হলো ভারতীয়দের।
তালিবানরা কাবুল দখলের পর ই 15 ই আগস্ট রাতে আফগানিস্থানে উড়ে যায় দুটি ভারতীয় বায়ুসেনার সি-17 বিমান। তাদের সঙ্গে যায় ইন্দো-টিবেটিয়ান বাহিনী জওয়ানরা ও। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে 15 ই আগস্ট রাতে কোন উদ্ধারকার্য শুরু করা যায়নি। এদিকে ভারতীয় দূতাবাসের উপরও নজর রাখছিলো তালিবানরা। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়েও ঢোকার চেষ্টা করে তারা।
গতকাল সকাল পেরোতেই ভারত থেকে কাবুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সি-17 গ্লোবমাস্টারের একটি বিমান। কিন্তু বিমানবন্দরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় আফগানিস্থানের পরিবর্তে প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানে অবতরণ করানো হয় সেই বিমানটিকে। রাতের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা হয় 45 জন ভারতীয়কে। এদিন সকালে কাবুল থেকে ভারতে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ছিল আরও একটি বায়ুসেনার বিমান। বেলায় 120 জন যাত্রীকে নিয়ে গুজরাটের জামনগর এর ওই বিমানটি অবতরণ করবে বলে জানা যায়।
সূত্রে জানা যায়, বাকি মানুষদের কিভাবে উদ্ধার করবে সেই নিয়েই গতকাল বিকেলে মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা সংস্থা সাথে কথা বলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
আফগানিস্তানে বর্তমান যা পরিস্থিতি তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুশ্চিন্তাজনক। ইতিহাস সাক্ষী আছে এর আগেও তালিবান শাসন থাকাকালীন আফগানিস্থানের কি পরিস্থিতি ছিল। নারী শিক্ষা ও সুরক্ষা সমাজের নিম্ন থেকে নিম্নতম স্তরেই গিয়ে পৌঁছে ছিল। এবারও হয়তো একই জিনিস পুনরায় ঘটতে চলেছে আফগানিস্থানে। যা শুধুমাত্র আফগানিস্তানি নয় গোটা পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর।