উপ-নির্বাচনের মেলেনি তারিখ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি দিতে পারেন ইস্তফা?
ডেস্ক: হাতে বাকি আর মাত্র মাস দু’য়েক। কিন্তু উপ নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠ বিধায়ক নিয়ে তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতার মনসদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি নিজের কেন্দ্র থেকে বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান। তবুও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে অধিকারী হন তিনি। তবে এই ক্ষমতা আর আসন ধরে রাখতে হলে শপথ গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে উপ নির্বাচনে জয়ী হতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তাই তৃনমূলের এত তোড়জোড় উপ নির্বাচন হওয়া নিয়ে। কিন্তু সেই তোড়জোড় সায় দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন দপ্তরে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের 5 জন সাংসদ দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো ভোট করানো। বাধা দেওয়া নয়। পশ্চিমবঙ্গে কোরোনার সংক্রমণ কমেছে। তাই প্রয়োজন হলে পশ্চিমবঙ্গের দুই দফায় ভোট হতে পারে।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, বাংলায় কোভিড সংক্রমণ নিম্নগামী। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সাত কেন্দ্রের কোভিড পরিসংখ্যান দিয়েছি। সেখানে কোরোনা অনেক কম। ফলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটগ্রহণ করা হোক।
কিন্তু ভোট হওয়া নিয়ে মাথাব্যাথা দেখাচ্ছেনা নির্বাচন কমিশন। যদি ভোট না হয়ে থাকে তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কি ইস্তফা দিতে হবে?
যদি উপনির্বাচন না হয়, তবে অন্য একটি উপায় হলো বিধান পরিষদ গঠন। নির্বাচনের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ গড়ার কথা তুলেছিলেন। সেখানে তিনি দলের অভিজ্ঞ এবং বরিষ্ঠ নেতা-নেত্রীদের রাখবেন। বলা বাহুল্য, তৃণমূলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ নেত্রী সেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সুতরাং তৃণমূলের বাকি বিধায়করা যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিধান পরিষদের অঙ্গ হিসাবে মনোনীত করেন তাহলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি হাউজের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। এবং সেভাবেই তিনি নিজের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হবেন।