বিএসএফের হাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রেফতার হলো ফেনসিডিল ও গাঁজা পাচারকারী

 

ডেস্ক: প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে স্মাগলিং এর ব্যবসা। বিশ্ব সংস্কারে ঘুনের মতো চোরাচালান জাপটে ধরেছে। আবারও দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কর্মীরা চোরাকারবারিদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা থেকে আলাদা আলাদা ঘটনায় ১৫৮৮ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল কাশির সিরাপ এবং ৪৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া ১ জন পাচারকারীকে ও আটক করা হয়েছে। বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উদ্ধার করা ফেনসিডিলের আনুমানিক মূল্য ২,৯৬,৪০০/- টাকা। চোরাকারবারীরা এসব ফেনসিডিল ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল ।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারী, দুপুর ১ টায়, ৮ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি সুন্দরের জওয়ানরা, নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে এবং তার সাইকেল রিকশায় লুকিয়ে রাখা ৯৯ বোতল ফেনসিডিল এবং ০৫ কেজি গাঁজা জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি নদীয়া জেলার সীমান্ত গ্রাম শ্রীরামপুরের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা, যার নাম শান্তি রায়, বয়স ৬৫ বছর।

জিজ্ঞাসাবাদে শান্তি রায় জানায়, সে দত্তপুলিয়া বাজারে তপন বিশ্বাসের কাছ থেকে একটি সাইকেল রিকশা নিয়ে তাতে ইট নিয়ে আসে। সাইকেল রিকশাতে রাখা ফেনসিডিল ও গাঁজা বাংলাদেশের পলিয়ানপুর গ্রামের বাসিন্দা সফিকুলের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জগদীশ রায় নামে গ্রেফতার চোরাকারবারীর এক ছেলে সীমান্তে চোরাচালান ও মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত।

BSF-arrested-smuggler-on-Indo-Bangladesh-border

আরও একটি ঘটনায়, সেই একদিনই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের বেহরামপুর সেক্টরের অধীনে সীমা চৌকি নরশারিপাড়া, ১৪১ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের এলাকার বিভিন্ন জায়গায় আম্বুস মোতায়েন করে চোরাকারবারিদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়। তবে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজা ও ৯৯০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার তার দায়িত্ব এলাকা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৮৮ ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত চোরাচালানকারী এবং জব্দকৃত ফেনসিডিলের বোতল ও গাঁজার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কাস্টম অফিস/পুলিশ স্টেশনে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান হতে দেব না: বিএসএফ অফিসার

এই ঘটনায় দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তর জনসংযোগ আধিকারিক, এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে, তার জওয়ানদের পিঠে চাপড়ে সাবাশি দেন। তিনি বলেন, যে ডিউটিতে থাকা তার জওয়ানদের সতর্কতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। অফিসার আরও জানান, তার সৈন্যদের চোখ থেকে কিছুই লুকানো যাবে না। তারা কোনো অবস্থাতেই তাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *