দলীয় অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের
ডেস্ক: দলের এখন কঠিন সময়। একথা অতি বড় সমর্থকও মেনে নেন। এমন একটা সময়ে এককাট্টা থাকা বা পারস্পরিক বিবাদে না জড়ানোয় দস্তুর। তবেই না, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সম্ভব। সেকথা অনুধাবন করতে ভুল করেননি কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই এবার দলীয় সংবিধানে নতুন নিয়ম লাগু করল কংগ্রেস।
যে পরিস্থিতিই তৈরি হোক না কেন, দলের আর জনসমক্ষে সমালোচনা করা যাবে না। এর পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কঠিন অনুশাসনের মধ্যে রাখতে মাদক সেবন থেকেও বিরত থাকতে বার্তা দেওয়া হয়েছে। রাইপুরে তিন দিনের কনক্লেভ চলছে কংগ্রেসের।
সামনের বছর লোকসভা নির্বাচন। সাংগঠনিকভাবে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই শতাব্দী প্রাচীন দলটি। এই আবহে গতকাল থেকে রাইপুরে বসেছে কংগ্রেসের ৮৫তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। সেখানে ১৫ হাজারের বেশি প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। অধিবেশনে লোকসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে পারে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দল কীভাবে চলবে, বিরোধীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়বে কি না বা লড়লে কোন কোন দলকে সঙ্গে নেবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে অধিবেশনে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ যে দলের পালে হাওয়া দিয়েছে তা কথা বলাই-বাহুল্য। আজ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের গলায় সে কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল। তিনি বললেন, “আমরা দেশে সব ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব। ভারত জোড়ো যাত্রা দেশে অনেকটা সূর্যের কিরণের মতো। হাজার হাজার মানুষ রাহুল গান্ধীর হাতে হাত রেখেছেন এবং প্রমাণ করেছেন যে কংগ্রেস এখনও তাঁদের হৃদয়ে আছে। রাহুল তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছেন।”
শুধু তা-ই নয়, অধিবেশনের মঞ্চ থেকে বিজেপিকেও বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বললেন, “এই অধিবেশন থামাতে, দলীয় কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানোর ব্যবস্থা করেছে বিজেপি । ওরা আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করিয়েছে। কিন্তু, আমরা তাদের মুখোমুখি হয়েছি এবং এই অধিবেশন শুরু করেছি।”