সিঙ্গুর থেকেই সূচনা হবে ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্প
ডেস্ক: ২০১৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে সেই নির্বাচনে রাস্তাই জয়ের রাস্তা দেখিয়েছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে । আবার দশ বছর পর শিয়রে আরও একটা পঞ্চায়েত ভোট। বেহাল রাস্তার সমস্যা ভাবাচ্ছে শাসক দলকে। রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ মেটাতে তাই শাসকের অস্ত্র ‘রাস্তাশ্রী’।
এই প্রকল্প নিয়েই সিঙ্গুর যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থানের সাক্ষী এই সিঙ্গুর। ২০২১ সালে আবারও শাসক দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সিঙ্গুর । সেই ভাঙা গড়ার সিঙ্গুরেই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সেই সিঙ্গুর থেকেই শাসকের ট্রাম্প কার্ড রাস্তাশ্রীর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই প্রকল্পের আওতায় এ রাজ্যে মোট ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হবে । মেরামতি হবে পুরনো রাস্তারও । শাসক দলের মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্রামে বৈঠক করা হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে । পরে দিদির সুরক্ষা কবজ অভিযান হয় । এই দুই ক্ষেত্রেই মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছিলেন গ্রামীণ রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে ।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভায় রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের ঠিকাদারদের এই প্রকল্পে কাজ না করার পরামর্শ দেন । তার বক্তব্য ছিল এই প্রকল্প কেন্দ্রের নয়, রাজ্যের। টাকা পাবেন না ঠিকাদাররা । শুভেন্দুর ওই বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চলতি বছরের অর্থ বাজেট পেশের দিনেই ঘোষণা হয় ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের।
রাজ্যজুড়ে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার পুনঃনির্মাণ ও মেরামতির জন্য মোট ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। আজ, ২৮ মার্চ রাজ্য জুড়ে ১২০০০ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় এই নতুন প্রকল্পের নাম ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, জনসাধারণের স্বার্থে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হবে। এই সড়কগুলিকে আরও মজবুত এবং উন্নত করার পাশাপাশি অন্যান্য সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এই রাস্তাশ্রী প্রকল্প চালু করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।