৩০০ টাকার নকল সোনার গয়না ৬ কোটি টাকায় বেচলেন এক বিদেশিনী কে !

ডেস্ক: কিছু কিছু দোকানদার পুরো লোক ঠকানোর ব্যবসা চালান। এই কথা আমরা অনেকে প্রায়ই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে থাকি। সেসব দোকানে গেলে ২০০ টাকার জিনিস ৪০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। ঠকার পর বুঝতে পারলে টাকাও ফেরত পাওয়া যায় না। হয়রান হতে হয় সেই কারণে। কিন্তু তা বলে ৩০০ টাকার জিনিস ছয় কোটি টাকায় ! অর্থাৎ দ্বিগুণ নয়, ২ লাখ গুণ বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে একটি নকল সোনার গয়না। এমনটা কেউ কখনও শুনেছেন বলে মনে করতে পারবেন কি ?

সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। সেখানে এক সোনার দোকান থেকে নিজের জন্য গয়না কিনতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। তাঁর পছন্দের সোনার হারটির জন্য তাঁকে ছয় কোটি টাকা দিতে হয়। পরে তিনি বাড়ি ফিরে জানতে পারেন, গয়নাটি আদতে পুরোটাই নকল। সেটি সোনা নয়, সোনার জল করা। ভিতরের উপাদান আসলে রূপো দিয়ে তৈরি। বাজারচলতি এই ইমিটেশন গয়নার দাম কোনওমতেই ৩০০ টাকার বেশি নয়!

প্রসঙ্গত ওই তরুণী মার্কিন যুক্তরাষ্টের বাসিন্দা। চেরিশ নামের ওই তরুণীকে বিদেশি দেখেই তাঁকে ঠকানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। জয়পুরের জোহরি বাজারের ওই দোকানের থেকে গয়নাটি কিনে নিজের দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন মার্কিন তরুণী। সেখানে এপ্রিল মাসে একটি প্রদর্শনী হয়। ওই প্রদর্শনীতে গয়নাটি দেখানোর সময় তিনি জানতে পারেন সেটি নকল। এর পরেই তিনি তৎপর হন। চেরিশ নামের ওই মহিলা ফের ভারতে আসেন ওই দোকানদারকে ধরার জন্য। প্রাথমিকভাবে দোকানদার ঘটনাটি অস্বীকার করে। কিন্তু পরে তরুণী দোকানদারের নামে জয়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালে এই হারটি কেনেন চেরিশ।দোকানদারকে বিশ্বাস করে ইনস্টলমেন্টে ছয় কোটি টাকাও পাঠান। বর্তমানে পুলিশের কথা অনুযায়ী, ওই দুই দোকানদার পলাতক। গৌরব সোনি ও তাঁর বাবা রাজেন্দ্র সোনি দুজনেই নিখোঁজ। তবে পুলিশ দুজনকেই ধরার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমকে। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই দূতাবাস স্তরে পৌঁছেছে। দূতাবাসের থেকেও সাহায্য চেয়েছেন মার্কিন নিবাসী তরুণী। প্রসঙ্গত, মার্কিন দূতাবাসের সাহায্য নিয়েই জয়পুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনাটি ভারতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *