৬ মাস ও কাটেনি , এক বৃষ্টিতেই রাম মন্দিরে ছাদ ফুটো হয়ে জল !

ডেস্ক: ছাদ ফেটে অঝোরে জল পড়ছে অযোধ্যার রামমন্দিরে! এখনও ছয় মাসও কাটেনি রাম মন্দির উদ্বোধনের। জানা গিয়েছে, এবছরের প্রথম বৃষ্টিতেই ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে রাম মন্দিরে। যার ফলে মন্দিরের ভিতরে এবং আশপাশের কমপ্লেক্সে জল জমেছে। ফলত মন্দিরের জলনিকাশি ব্যবস্থা দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের মুখে।

রামলালার জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠান চলতি বছরের ২২ জানুযারি হয়েছিল প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই জানা গিয়েছিল এর সুবিশাল নির্মাণের কথা। ২.৭ একর জমির উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মন্দির। ১৮০০ কোটি টাকার খরচে তৈরি এই মন্দির।

এই মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনও ইস্পাত বা লোহা। শুধুমাত্র নির্মাণ শৈলীর উপরে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় কুতুব মিনারের কাছাকাছি উচ্চতার রাম মন্দির। এমনকি নাগরা স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেলে তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। এটি তৈরির পিছনে রয়েছেন দেশের বিশাল নামী বিজ্ঞানীরা। সাহায্য নেওয়া হয়েছে ইসরোর। কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই এমন অবস্থা রামমন্দিরের। ফুটো ছাদ এবং জলাবদ্ধ প্রাঙ্গন নির্মাণের গুণমান নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন যে, চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি এখনও বিভিন্ন চেম্বারে কাজ করছে। যেখানে আরও দেবতাদের স্থাপন করা হবে। এই ইনস্টলেশনগুলি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, ‘তবে, কেন নবনির্মিত মন্দিরটি ফুটো হচ্ছে তা সমাধানের দিকে অবিলম্বে ফোকাস করা উচিত।’
জানা গিয়েছে, প্রাক-বর্ষা বৃষ্টিতে অযোধ্যার পরিকাঠামোরও উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতি হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে রাম পথের তিনটি স্থান-সহ পাঁচটি বড় রাস্তা ধসে পড়েছে। রিকাবগঞ্জ রোডের চকের কাছে এবং পুলিস লাইনের সামনে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়ে অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্প্রতি নির্মিত পুষ্পরাজ চৌরাহা-ফতেহগঞ্জ সড়কটিও যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

রবিবার রাতে, মুষলধারে বৃষ্টি হয় অযোধ্যায়। যার ফলে সেখানে রাজপথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পুলিস লাইনের গেটের কাছে পুষ্পরাজ চৌরাহা-ফতেহগঞ্জ রুটের একটি বড় অংশ ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকার চারপাশে ইট এবং গাছের ডাল বসানোর অনুরোধ করা হয়।

পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের ইঞ্জিনিয়ার ধ্রুব আগরওয়াল ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন যে বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মীদের অবিলম্বে মেরামত কাজ শুরু করার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *