ডেস্ক: সাধারণ মানুষের কাছে ডাক্তার ভগবানের সমান। কিন্তু ডাক্তার যদি মদ খেয়ে নিজেকে সত্যিই ভগবান বলে মনে করতে শুরু করেন তবেই তৈরি হয় সমস্যার। এমন কি এর কারণে যেতে পারে কোনো নির্দোষের প্রাণ ও। আর এমন ঘটনাটাই ঘটলো কল্যাণী পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরচর এলাকার নয়ন গোয়ালা নামে এক কিশোরের সাথে।
19 বছরের নয়ন গোয়ালা অ্যাকুরিয়াম পরিস্কার করছিল, আর সেই সময় তার গায়ে অ্যাকুরিয়াম পড়ে যায়। অ্যাকুরিয়ামের কাচ ভেঙে হাতের শিরা কেটে যায় কিশোরের। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে তার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বলে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার জন্য তৈরি হচ্ছিল কাগজপত্র।
সেই সময় হঠাৎ করে মদ্যপ অবস্থায় কর্তব্যরত এক চিকিৎসক এসে বলেন, ‘আমি ভগবান, আমি সব করে দেবো’। এই বলেই চিকিৎসক নয়নের হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেন। যার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় এবং মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।
মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, অ্যাকুরিয়াম ভেঙ্গে হাতের শিরা কেটে যায়। হাসপাতাল থেকে ড্রেসিং করে দেয়। তারপর রেফার করে অন্যত্র, পরে একজন ডাক্তার আসেন। তিনি মদ্যপ ছিলেন ড্রেসিং টা বারবার বারণ করা সত্ত্বেও খুলে দেন। তারপরেই রক্ত বের হতে থাকে আরও।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, “অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি অভিযোগ প্রমাণ হয় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।